Bangladesh Crisis: অশান্ত বাংলাদেশ! ঘরে ফিরতে না পেরে চরম উদ্বেগে ভারতে আসা বাংলাদেশিরা

Bangladeshis in India: পড়াশোনা-চিকিৎসা করতে ভারতে রয়েছেন বহু বাংলাদেশি, কী বলছেন তাঁরা?
Bangladesh_Crisis_(6)
Bangladesh_Crisis_(6)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়েছেন তিনি। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এখন ওপার বাংলায়। চরম আতঙ্কে আর উদ্বেগে রয়েছেন কলকাতায় আসা বাংলাদেশি নাগরিকরা (Bangladeshis in India)। ঘন ঘন পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করছেন। অনেকে আবার অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেও দেশে ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছেন। অনেকে আবার বাড়ি না ফিরতে পেরে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

 ভারতে চরম উদ্বেগে রয়েছেন বাংলাদেশি পড়ুয়ারা (Bangladesh Crisis)

গুজরাটের বরোদায় মহারাজা সয়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ থেকে পড়তে এসেছেন এক পড়়ুয়া। স্নাতকোত্তর পারফর্মিং আর্টস বিভাগের ওই ছাত্র বলেন, "মাসখানেক ধরেই দেশের অবস্থা খারাপ। তবে, সোমবারের পর থেকে দেশের (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতি নিয়ে বার বার খোঁজ নিচ্ছি। দেশে আমাদের এলাকায় আক্রমণের মুখে পড়ছেন মূলত আওয়ামি লিগের সমর্থকরা। আমাদের এলাকার লোকজন চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বাড়ি ফেরার পরিস্থিতি এখন নেই। ফলে, ফোনেই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বাংলাদেশি ছাত্রী বলেন, ‘‘আমার বাড়ি ফরিদপুরে। বাড়িতে ফোন করে জানতে পারি, প্রায় একশো জনের বাইকবাহিনী আমাদের পাড়ায় ঘুরছে, ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। আতঙ্কে সারা রাত ঘুমোতে পারিনি। আমার কলেজ শিক্ষক বাবাকে জামাতপন্থী এক সহকর্মী জানিয়েছেন, ভয় পাবেন না। প্রয়োজনে বাবার সহকর্মীর বাড়িতে গিয়ে পরিবার থাকতে পারে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমার বাবাকে ওই সহকর্মী আরও জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আপাতত কয়েক দিন তিনি যেন তাঁর সঙ্গেই কলেজে যাতায়াত করেন।’’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

চিকিৎসা করাতে এসে বিপাকে বাংলাদেশিরা!

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) থেকে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসেছেন প্রায় ৩০০-রও কাছাকাছি মানুষ। যার মধ্যে কিছুজন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শীঘ্রই তাদের মধ্যে কাউকে ছুটিও দেওয়া হবে। যদি চিকিৎসাধীনদের কোনও সমস্যা হয়, তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওপারে তাঁদের পড়শীদের সঙ্গে কথা বলানোর ব্যবস্থা করছে। তবে, স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ভিসা শেষ হয়ে গেলে অন্যান্য দেশের মতো হাইকমিশন সেই ব্যবস্থা নেয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম রয়েছে। দিদির চিকিৎসা করাতে সপ্তাহখানেক আগে যশোর থেকে কলকাতা এসেছেন সুরসিনা খাতুন। বর্তমানে চিকিৎসা করানো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বাড়ি কি করে ফিরবেন তা নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, "চিকিৎসার জন্য এদেশে এসেছিলাম। এখন বাড়ি কী করে ফিরব বুঝতে পারছি না। বর্তমানে দেশে ব্যক্তিগত গাড়ি চলছে বলে শুনেছি। তবে যা পরিস্থিতি হল, তা ভালো না বলেই মনে হচ্ছে। শেখ হাসিনা দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করে পদত্যাগ করলেন।" ফরিদপুর থেকে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসা আরেক বাংলাদেশি (Bangladeshis in India) বাবুল হোসেন। তিনি বলেন, "বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওরা বলছে দেশের অবস্থা ভালো নয়, চিকিৎসা করে তাড়াতাড়ি যাতে আমি ফিরে যেতে পারি, তার অনুরোধ করছে। বাস, ট্রেন সব বন্ধ। বিমানে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।"

সীমান্তে মোতায়েন সেনা

এদিন সকাল থেকেই বিএসএফের সঙ্গে শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি সীমান্তে নজরদারি চালাতে দেখা যায় সেনা আধিকারিকদের। সীমান্তের নিরাপত্তায় দু'কোম্পানি সেনা মোতায়েন করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে ওপার বাংলার (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতি দ্রুত ঠিক হোক, এটাই চাইছেন সেখানকার সাধারণ নাগরিকরা। প্রতিদিন ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই বাংলার মধ্যে সাধারণ মানুষ ও পণ্য সামগ্রীর ট্রাকের যাতায়াত লেগে থাকে। বাংলাদেশে অশান্তির কারণে বর্তমানে তা অনেকটাই ফিকে। সীমান্তের পরিবেশ থমথমে। বন্ধ বেশিরভাগ দোকানপাট।  

আতঙ্ক নিয়ে বাড়়ি ফিরছেন বাংলাদেশিরা

আতঙ্কের মধ্যেই ভারত ছেড়ে পরিবারের টানে বাংলাদেশে ফিরছেন এপারে থাকা বাংলাদেশিরা (Bangladeshis in India)। বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁওয়ের বাসিন্দা মুস্তাক আলি বলেন, "এলাকার অবস্থা উত্তপ্ত। বাড়ির লোকজনদের জন্য চিন্তা হচ্ছে। তাই, বাড়ি ফিরতে চাইছি।" আরেক বাসিন্দা রিঙ্কি সেন বলেন, "আমাদের দেশে (Bangladesh Crisis) এখনও খুবই খারাপ অবস্থা। ওখানে পরিবার রয়েছে। ফলে, এখানে থাকলে বেশি চিন্তা হচ্ছে। তাই, বাড়ি ফেরার জন্য সীমান্তে এসেছি। সীমান্ত পার হলেই বাড়ি ফিরতে পারব কি না জানি না। যানবাহন সবই বন্ধ। তবুও, বাড়ি ফিরব। যা হওয়ার ওখানেই হবে। আতঙ্ক নিয়েই যাচ্ছি।"   

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles