মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপে জঘন্য পারফরম্যান্স দেখিয়েছে সাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারকে টাইম আউট করা নিয়ে বিতর্কও কম ওঠেনি। উঠেছে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্নও। এবার দেশে ফিরে জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন সাকিব রাজনীতিতে যোগদান দিচ্ছেন এমনই জোর চর্চা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। জল্পনা অবশ্য বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে। সূত্রের খবর, তিনটি আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাকিব আল হাসান।
আওয়ামী লিগের প্রার্থী হবেন সাকিব?
ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লিগের হয়ে মনোনয়নপত্র কিনেছেন তিনি (Shakib Al Hasan)। এমনটাই জানা গিয়েছে। অর্থাৎ আগামী ৭ জানুয়ারি হতে চলা বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যেতে পারে সাকিবকে। শেখ হাসিনার দলের হয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন লড়তে পারেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। সূত্রের খবর সাকিবুল হাসানের হয়ে এক প্রতিনিধি ঢাকায় আওয়ামী লিগের দফতরে যান এবং সেখান থেকেই মনোনয়নপত্র নিয়ে আসেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিবের এক আত্মীয় জানান যে বর্তমানে সাকিব (Shakib Al Hasan) দেশের বাইরে রয়েছেন এবং দেশে ফেরার পরই মনোনয়নপত্র জমা দেবেন তিনি।
কী বলছে আওয়ামী লিগ?
অন্যদিকে আওয়ামী লিগের এক শীর্ষ নেতা বাহাউদ্দিন নাসিম জানিয়েছেন ঢাকার ১০ নম্বর আসন থেকে সাকিবের হয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন একজন। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান অধিনায়ক এই মুহূর্তে মার্কিন সফরে রয়েছেন। তবে রাজনীতিতে সাকিবের যোগদান নিয়ে চর্চা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে যোগদান করবেন সাকিব, এমন খবর রটেছিল। যদিও এই খবরের কোনও ভিত্তি নেই বলেই পরবর্তীকালে জানিয়েছিলেন সাকিব (Shakib Al Hasan)। এবারে তাঁর আওয়ামী লিগের হয়ে মনোনয়নপত্র তোলার ঘটনাতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কোনও কোনও মহলের প্রশ্ন, এবার তবে ক্রিকেট থেকে কি সন্ন্যাস নিতে চলেছেন সাকিব? সে কারণেই কি রাজনীতিতে আসতে চাইছেন? যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি সাকিবের মুখে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours