Azad Hind Fauj: আজ আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা দিবস, নেতাজিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অমিত শাহের

Amit Shah: আজাদ হিন্দ ফৌজের ‘দিল্লি চলো’ স্লোগান গোটা দেশকে আন্দোলিত করেছিল, প্রতিষ্ঠা দিবসে মন্তব্য শাহের  
Untitled_design(944)
Untitled_design(944)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর আজাদ হিন্দ ফৌজ (Azad Hind Fauj) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose)। সোমবার এই ঐতিহাসিক দিবসের বার্ষিকীতে নেতাজিকে স্মরণ করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। পরাধীন ভারতে নেতাজির গঠিত প্রথম স্বাধীন আজাদ হিন্দ সরকারের কথাও উল্লেখ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানান, এই পদক্ষেপ ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এদিন এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্টও করেন অমিত শাহ। নিজের পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘‘ঐতিহাসিক এই পদক্ষেপেই ব্রিটিশদের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিতে পেরেছিলেন নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose)। এদিন আজাদ হিন্দ ফৌজের বীর সৈন্যদের শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। স্মরণ করেন ‘দিল্লি চলো’ স্লোগানকেও। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আজাদ হিন্দ ফৌজের (Azad Hind Fauj) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ‘দিল্লি চলো’ স্লোগান ভারতবর্ষের আপামর যুব সমাজকে আন্দোলিত করেছিল বলেও লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

নেতাজি (Netaji Subhas) ছিলেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী, রেঙ্গুন ও সিঙ্গাপুরে ছিল সদর দফতর

প্রসঙ্গত, ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose) নেতৃত্বে তৈরি হয়, আজাদ হিন্দ ফৌজ। সেদিনই অস্থায়ী সরকার তৈরির ঘোষণা করেন নেতাজি। যে সরকারের নাম দেন আজাদ হিন্দ সরকার। আজাদ হিন্দ সরকারের (Azad Hind Fauj) প্রধানমন্ত্রী, যুদ্ধমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন নেতাজি নিজেই। আজাদ হিন্দ সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্যই ছিল, বিদেশি শাসন মুক্ত ভারত তৈরি করা এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের এই আপসহীন সংগ্রামে উজ্জীবিত হয়ে সারা ভারত আন্দোলিত হয়েছিল সেসময়। অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকারকে স্বীকৃতি দেয় সে সময় ব্রিটিশ বিরোধী অক্ষশক্তির জোট, জাপান, জার্মানি ও ইতালি সমেত মোট ৮টি দেশ। আজাদ হিন্দ সরকারের সদর দফতর স্থাপিত হয় মায়ানমারের রেঙ্গুন ও সিঙ্গাপুর-দুই জায়গাতেই। এখান থেকেই পরিকল্পনামাফিক চলত ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।

ছিল নিজস্ব নারী বাহিনীও

আজাদ হিন্দ ফৌজকে (Azad Hind Fauj) তিনটি ব্রিগেডে সাজিয়েছিলেন নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose)। ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধীর নামে তৈরি হয় গান্ধীজী ব্রিগেড। এছাড়া আরও দুটি ব্রিগেডের নাম ছিল, আজাদ ব্রিগেড এবং নেহরু ব্রিগেড। এর পাশাপাশি সে সময়ে নারীদেরও যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ করান নেতাজি। তৈরি হয় রানি ঝাঁসির ব্রিগেড। এর দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সাইগলকে। নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈন্যরা সাহস এবং সংকল্পের আদর্শ হয়ে রয়েছেন আজও আপামর ভারতবাসীর কাছে।

ভারতের মাটিতে প্রবেশ করেছিল আজাদ হিন্দ ফৌজ (Azad Hind Fauj)

১৯৪৪ সালে ভারতের কোহিমা ও ইম্ফলের কাছে ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে মরণপণ লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল নেতাজির (Netaji Subhas Chandra Bose) সেনাদল। এরপর জাপানের কাছ থেকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অধিকার আজাদ হিন্দ সরকার অর্জন করেছিল। মণিপুরে ভারতের মাটিতে জাতীয় পতাকা ওড়াতে সক্ষম হয় আজাহ হিন্দ সরকার। ১৯৪৫ সালে আজাদ হিন্দ বাহিনীর (Azad Hind Fauj) প্রভাব ব্যাপক ভাবে পড়ে ভারতে। দেশজুড়ে আন্দোলনে নড়ে যায় ব্রিটিশ সরকারর ভিত। ১৯৪৬ সালের নৌ বিদ্রোহকে ভারতের স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ কারণ মনে করা হয়। আর এই নৌ বিদ্রোহের মূলেই ছিল আজাদ হিন্দ ফৌজের তিন সেনানায়ক পিকে সায়গল, শাহনওয়াজ খান এবং গুরুবক্স সিং ধীলনের বিচারের নামে চলা প্রহসন। লালকেল্লায় আজাদ হিন্দ ফৌজের তিন সেনানায়কের বিচার শুরু হলে বিদ্রোহ শুরু হয় নৌবাহিনীতে।

ক্লিমেন্ট অ্যাটলি ও মহাত্মা গান্ধীর বয়ান 

ভারতের স্বাধীনতা লাভের প্রধান কারণ নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose) এবং তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজ, একথা বলেছিলেন ভারতের স্বাধীনতার সময়ে থাকা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি। জানা যায়, বাংলায় এসে ১৯৫৬ সালে তৎকালীন রাজ্যপাল ফণীভূষণ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রাজভবনে একথা বলেন এটলি। জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীও আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। গান্ধীজী বলেছিলেন, “যদিও আজাদ হিন্দ ফৌজ (Azad Hind Fauj) নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি, তথাপি তাঁরা এমন অনেক কিছু করেছেন, যে জন্য গর্ববোধ করা যায়।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles