Assam’s New Rules: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার আবেদন, গ্রামের লোকজন যদি তাঁদের এলাকায় অপরিচিত ইমামদের দেখেন তাহলে তাঁরা যেন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান। 
Himanta-Biswa-Sarma
Himanta-Biswa-Sarma

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম এবং মাদ্রাসা ও মসজিদের শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন (Police Verification) ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক করা হবে। জানিয়ে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আল কায়দার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে অসম থেকে গত চারমাসে অন্তত ২৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও রয়েছে।

গত কয়েকদিনে অসমের একাধিক জায়গায় থেকে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। এদের অনেকেই সেখানের ইমাম এবং মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে কাজ করছিলেন। তারা বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন  আনসারুল্লা বাংলা টিমের (Ansarullah Bangla Team) সঙ্গে যুক্ত বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে ধৃতরা জিহাদি কাজ এবং আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের (Al Qaida in Indian Subcontinent) সঙ্গেও যুক্ত বলে দাবি অসম পুলিশের। একের পর এক জঙ্গি ধরা পড়ার জেরেই নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম প্রশাসন।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sarma)  আবেদন, গ্রামের লোকজন যদি তাঁদের এলাকায় অপরিচিত ইমামদের দেখেন তাহলে তাঁরা যেন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান।  তিনি বলেন, "রাজ্যে একের পর এক জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার পরে এখানে নতুন একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল (Standard Operating Protocol) চালু করা হচ্ছে। এরই অঙ্গ হিসাবে যারা রাজ্যের বাইরে থেকে মাদ্রাসায় আসছেন তাঁদের সম্পর্কে একটি ‘পোর্টাল’ করা হচ্ছে।"

আরও পড়ুন: আল কায়দা যোগ, অসমে গ্রেফতার দুই ইমাম! কী মিলল তাদের কাছ থেকে?

প্রসঙ্গত, গত শনিবার জঙ্গি যোগের অভিযোগে গোয়ালপাড়া থেকে দুজন ইমামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরই একেবারে তাৎপর্যপূর্ণ ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে পোর্টাল খোলা হবে, তার  মাধ্যমে ইমাম ও বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষক যারা অসমের বাইরে থেকে আসছেন তাদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে কবে থেকে এই পোর্টাল চালু হবে তা নিয়ে তিনি কিছু জানাননি।

এদিকে গোয়ালপাড়ার পুলিশ সুপার ভিভি রাকেশ রেড্ডি জানিয়েছেন, ওই ইমামরা জেহাদি স্লিপার সেল তৈরির কাজ করত। তল্লাশি চালিয়ে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে বেশ কিছু বই, পোস্টার, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে অসম পুলিশ। এ ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন, সিম কার্ড ও পরিচয় পত্র।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles