ECL: আসানসোলে ইসিএল কোলিয়ারির গাড়ি আটক করে বিক্ষোভে এলাকাবাসী, কেন জানেন?

রাতের অন্ধকারে গাড়ি করে জিনিসপত্র পাচার হচ্ছিল। আসানসোল ইসিএল  এর সোদপুর এরিয়ার বন্ধ মাউদডি কোলিয়ারির ঘটনা। গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী।
ECL
ECL

মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাত হলেই  গাড়ি করেই দিনের পর দিন পাচার হয়ে যেত ইসিএল (ECL) কোলিয়ারির জিনিসপত্র। বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকাবাসীর কাছে এই অভিযোগ আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে পাচার হওয়ার সময় এলাকার বাসিন্দারা জোটবদ্ধ হয়ে জিনিসপত্র সহ গাড়ি আটক করেন। আসানসোল ইসিএল (ECL)  এর সোদপুর এরিয়ার বন্ধ মাউদডি কোলিয়ারির এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, বন্ধ কোলিয়ারির বিভিন্ন সামগ্রী একটি পিকআপ ভ্যানে করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিল। সোদপুর গ্রামের বাসিন্দারা ওই পিকআপ ভ্যানটিকে আটক করেন। পরে, গাড়ি চালকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু, তিনি তা দেখাতে পারেননি। তখনই তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

কোলিয়ারির জিনিসপত্র পাচার নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী? ECL

বন্ধ কোলিয়ারির জিনিসপত্র পাহাড়া দেওয়ার জন্য নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। এলাকাবাসীর বক্তব্য, দিনের বেলায় কেউ কয়লার গুঁড়ো নিতে আসলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের তাড়া করেন। আমরা পদক্ষেপকে প্রশংসা করছি। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে গাড়ি ভরতি করে কোলিয়ারি ভিতর থেকে জিনিসপত্র সামগ্রী পাচার হয়ে যাচ্ছে, তা দেখার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের নেই। আসলে ইসিএল (ECL)  কোলিয়ারির কর্তৃপক্ষের একাংশের মদতেই রমরমিয়ে এই  পাচার চলছে। গত কয়েকদিন ধরে দেদার জিনিসপত্র পাচার হয়ে যাচ্ছিল। এদিনও তারা গাড়ি করে জিনিসপত্র পাচার করার সময় ধরা পড়ে যায়। আমাদের বক্তব্য, গাড়ি করে যে সব জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জরুরি কিছু নয়। তাই, দিনেরবেলায় নিয়ে গেলে কারও কোনও আপত্তি থাকত না। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে এভাবে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়াতে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে।

ইসিএল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য? ECL

জিনিসপত্র নিয়ে গাড়ি পাচার করার সময় এলাকাবাসী দীর্ঘক্ষণ আটক করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসেন ইসিএল (ECL)  কোলিয়ারির ম্যানেজার মহম্মদ একলাখ খান। তিনি বলেন, কোনও পাচার করার জন্য গাড়ি করে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল না। নিয়ম মেনেই এই কোলিয়ারি থেকে আমাদের মেন অফিসে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গাড়ির চালকের কাছে চালানো রয়েছে। এলাকাবাসী আমাদের ভুল বুঝে বিক্ষোভ দেখান। তবে, ম্যানেজারের বক্তব্য এলাকাবাসী মানতে চাননি। তাঁরা কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে গাড়িসহ জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles