মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধ, বৃহস্পতিবারের পর এবার শুক্রবারেও! পর পর তিন দিন ইডির তলব কেষ্ট কন্যাকে (Sukanya Mondal)। গরু পাচার কাণ্ডে তিন দিন দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে হাজিরা দিলেন সুকন্যা মণ্ডল। বুধে আট ঘণ্টা ও বৃহস্পতিবারে সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের কন্যাকে। এর পর শুক্রবার আবার সকাল ১১টা নাগাদ ইডির তদন্তকারীদের মুখোমুখি হলেন তিনি।
ইডি সূত্রে খবর, সামান্য প্রাথমিক শিক্ষক হয়েও কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি, এই নিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারায় তাঁকে বার বার ডাকা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জোর দেন সুকন্যার সংস্থার উপর। সুকন্যার সংস্থা ভোলে ব্যোম রাইস মিলের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, কোটি কোটি টাকার উৎস কী? কার টাকা, কোথা থেকে এল, কীভাবে এল এসব নিয়েই ফের আজকের জেরা। ইডির দাবি, ২০১৪ সালের আগেও সুকন্যার বছরে আয়ের পরিমাণ ছিল ৩ লক্ষ টাকার মতো। গত দু’বছরে তাঁর বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ফলে তদন্তকারীরা সন্দেহ করেছেন যে, গরু পাচারের অর্থ থেকেই সুকন্যার সম্পত্তির পরিমাণ ফুলেফেঁপে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনের, নতুন ঠিকানা তিহার জেল
উল্লেখ্য, গতকাল সুকন্যা ছাড়াও তলব করা হয়েছিল অনুব্রতের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি ও ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকেও। সূত্রের মতে, ৩ জনের কারও সঙ্গে কারও দেখা হয়নি ইডির দফতরে। সূত্রের খবর, রাজীবের কাছে ইডি জানতে চায়, তিনি মণীশকে চেনেন কি না? রাজীব জানান অনুব্রতর সিএ হিসাবে তিনি মণীশকে চেনেন। অন্যদিকে, মণীশকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তদন্তকারীরা জানতে চান, অনুব্রতর সঙ্গে তিনি কবে থেকে যুক্ত? কিন্তু মণীশের উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় আজ ফের তলব করেছে ইডি।
আবার অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের লটারি জেতা নিয়ে তদন্তে আরও তৎপর হল সিবিআই৷ এবার বোলপুরের একটি লটারির দোকানে হানা দিলেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ মিনিট পাঁচেক ওই দোকানে ছিলেন তাঁরা৷ লটারির টিকিট কীভাবে ভাঙানো হয়েছিল, এর পেছনে কী রহস্য রয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে দোকানের কর্মীদের বোলপুরের সিবিআই ক্যাম্প অফিসে হাজিরা দেওয়া নির্দেশও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা৷
+ There are no comments
Add yours