মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টায় দেশে আবার বাড়ল কোভিডের দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। ভারতে নতুন করে একদিনে করোনা আক্রান্ত হলেন দু’হাজার ৬৭ জন। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,২৪৭ জন। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৬৬ শতাংশ বাড়ল করোনা রোগীর সংখ্যা। দিল্লিতে এক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে ৬৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
সংক্রমণের জেরেই আবার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে মাস্ক। বুধবার দিল্লিতে জানিয়ে দেওয়া হল এই কথা। বলা হল, আবার মাস্ক পরতেই হবে। শুধু প্রাপ্তবয়স্কদেরই নয়, শিশু, কিশোর-কিশোরীদেরও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হল দিল্লিতে। এভাবেই আপাতত চতুর্থ ঢেউ আটকানোর কথা ভাবছে সরকার। তার সঙ্গে জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণেও।
তবে এর মধ্যে একটি প্রশ্ন উঠেছে। স্কুল কি আবার বন্ধ হবে?
এখনই তার কোনও আশঙ্কা নেই। এমনই বলা হয়েছে। স্কুল খোলাই থাকবে। ক্লাসও হবে নিয়ম করে। আগামী সময়ে পরিস্থিতি বিচার করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। তবে রাস্তায় বেরোতে গেলে তো বটেই স্কুল পড়ুয়াদের স্কুলেও পরে থাকতে হবে মাস্ক। নতুবা জরিমানা দিতে হবে। মাস্ক না পরা অবস্থায় কাউকে দেখা গেলেই ৫০০টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে আশঙ্কার মাঝেই, দেশের পাঁচ রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান, এই রাজ্যগুলি থেকেই ভারতের মোট কেসলোড এবং উচ্চ হারে সংক্রমণের খবর আসছে। এই পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মিজোরাম, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত রাজ্যকে সংক্রমণের বিস্তারের উপর নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার এবং কোভিড -১৯ সংক্রমণ রোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাজকর্মের উপর বিধি নিষেধ তুলে দেওয়ার আগে ঝুঁকির মূল্যায়ন করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।
রাজ্যগুলিকে কোভিডের টিকাকরণের উপর জোড় দিতে বলা হয়েছে। ভিড় জায়গায় মাস্ক পরার উপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে ভূষণ আরও বলেন, যে রাজ্যগুলিকে অবশ্যই কঠোর নজরদারি বজায় রাখতেই হবে এবং সংক্রমণের যে কোনও বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অগ্রিম পদক্ষেপ নিতে হবে। উদ্বেগজনক ক্ষেত্রগুলিতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং তাৎক্ষনিক ফলোআপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি । উদ্বেগ বেড়েছে কেরলকে নিয়েও। কেরলেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশো ছুঁইছুঁই। সে রাজ্যে এক দিনে ৪৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
+ There are no comments
Add yours