মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবথেকে কম উচ্চতার চিকিৎসক হতে চলেছেন গুজরাটের গণেশ বারাইয়া (২২)। ভাবনগরের মেডিক্যাল কলেজে ইতিমধ্যে শুরুও করেছেন তাঁর ইন্টার্নশিপ (World’s Shortest Doctor)। জীবনের সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে উতরে গিয়েছেন নিজের যোগ্যতায়। নানা বাধা, সমালোচনার মুখে পড়েছেন,শুনেছেন কটূক্তিও। অপরাধ তাঁর উচ্চতা। তবে কোনও কিছুই দমিয়ে রাখতে পারেনি এই হবু চিকিৎসকে। আগামিদিনে গণেশ বারাইয়া ডার্মাটোলজিতে স্পেশালাইজেশন করতে চান।
গণেশ বারাইয়ার উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট
বাকি পাঁচজনের থেকে শারীরিকভাবে (World’s Shortest Doctor) একেবারেই আলাদা গণেশ বারাইয়া, কারণ তাঁর উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট। ওজনও মাত্র ১৮ কেজি। শারীরিক গঠনের কারণে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে বারবার, কিন্তু মনের জোর ছিল অটুট। তাঁর শারীরিক অক্ষমতা ৭২ শতাংশ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই তাঁর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নের কথা। তাঁর স্বপ্নপূরণ সবথেকে বেশি সাহায্য় বারাইয়া পেয়েছেন তাঁর মায়ের কাছে, এমনটাই দাবি তাঁর।
গুজরাটের ভাবনগরের গোরকি গ্রামের বাসিন্দা বারাইয়া
গণেশ বারাইয়ার বসত বাড়ি গুজরাটের ভাবনগরের গোরকি গ্রামে বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের মধ্যে বারাইয়াই প্রথম, যিনি কলেজের গণ্ডি পার করেছেন। জানা গিয়েছে, বারাইয়ার বাবা ভিথল পেশায় একজন কৃষিজীবী এবং তাঁর আরও আটটি বোন রয়েছে। যাঁরা কেউই মাধ্যমিকের গণ্ডি টপকায়নি। বারাইয়া জানিয়েছে, নীলকন্ঠ বিদ্যাপীঠে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই তিনি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। ভাবনগর মেডিক্যাল কলেজের ডিন ডক্টর হেমন্ত মেহতা জানিয়েছেন, একেবারে সামনের সারিতে বসেই উৎসাহের সঙ্গে ক্লাস করে বারাইয়া। তাঁর সহপাঠীদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাহায্যও (World’s Shortest Doctor) পায়। এবিষয়ে বারাইয়া বলেন, “ক্লিনিকাল ডিউটির সময় আমি বহুমূল্য অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সেই সময়ই করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা কাজ করেছি।”
কৃতী ছাত্র বারাইয়া
সংবাদমাধ্যমকে বারাইয়া জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে তিনি দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় ৮৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। নিটেও ২৩৩ র্যাঙ্ক আসে তাঁর। কিন্তু এমবিবিএস কোর্সেই ভর্তির পথে অন্তরায় হচ্ছিল শারীরিক অক্ষমতা। তাঁর সঙ্গে আরও দুই শারীরিক অক্ষম পড়ুয়াকে (World’s Shortest Doctor) ভর্তিতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরে শুরু হয় আইনি লড়াই। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের রায় বারাইয়া ও বাকি দুই পড়ুয়ার এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির পক্ষে আসে। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অধিকার আইনের আওতায় পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে বলে শীর্ষ আদালত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours