West Bengal Day: প্রত্যেক হিন্দুর উচিত ২০ জুন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করা! জানুন এই দিনটির ইতিহাস

History of West Bengal Day: কেন ২০ জুন 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালন করা উচিত? জানেন এর পেছনে লুকিয়ে কোন ঐতিহাসিক তাৎপর্য?
WhatsApp_Image_2024-06-20_at_207.16_PM
WhatsApp_Image_2024-06-20_at_207.16_PM

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০ জুন দিনটি "পশ্চিমবঙ্গ দিবস" বা পশ্চিমবঙ্গ গঠন দিবস হিসাবে পালিত হওয়া উচিৎ। প্রত্যেক হিন্দু ধর্মাবলম্বীর উচিত ২০ জুন দিনটিকেই "পশ্চিমবঙ্গ দিবস" হিসেবে পালন করা। কিন্তু তার জন্য জানা দরকার কী তাৎপর্য লুকিয়ে রয়েছে এই দিনটির পিছনে। কেন এই দিনটিকেই এতদিন ধরে "পশ্চিমবঙ্গ দিবস" হিসেবে পালন করা হত - তা হয়তো রাজ্যে বসবাসকারী অনেকের কাছেই অজানা।  

২০ জুন দিনটির ইতিহাস ও গুরুত্ব (History of West Bengal Day) 

২০ জুন হচ্ছে বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস। কারণ ১৯৪৭ সালের ২০ জুন, অখণ্ড বাংলা বিধানসভায় বাংলা ভাগ করে পশ্চিমবঙ্গ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। সেই কারণে এই দিনটি এতদিন ধরে পালিত হত "পশ্চিমবঙ্গ দিবস" হিসেবে। তবে "পশ্চিমবঙ্গ দিবস" দিনটি যার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তিনি হলেন ডাঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। 

শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদান 

এই পশ্চিমবঙ্গ দিবস (West Bengal Day) পালনের ক্ষেত্রে ডাঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদান অনেক। যদিও তা মানতে অস্বীকার করেন কমিউনিস্ট-মনোভাবাপন্ন বুদ্ধিজীবীরা। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, একজন কট্টর জাতীয়তাবাদী, যিনি সবসময় ভারত ভাগের বিরুদ্ধে ছিলেন। বিভিন্ন মুসলিম নির্বাচিত নেতাদের অধীনে বাঙালি হিন্দুদের দুর্দশা দেখে গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছিলেন।         

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, উদ্বোধন-শিলান্যাস ৮৪ প্রকল্পের

এরপর ১৯৪৭ সালের ১৫ মার্চ, একটি বক্তৃতায়, ড. মুখোপাধ্যায় বাংলায় হিন্দুদের পায়ের তলার মাটি সুরক্ষিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তখন নির্মল চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ডঃ বিধান চন্দ্র রায়, ডঃ প্রমথ নাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং ক্ষিতীশ চন্দ্র নিওগী সহ নির্ভীক হিন্দু নেতারা বাঙালি হিন্দুদের বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হিসাবে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাংলা ভাগ করার ধারণার সঙ্গে একমত হন। এরপর ভারত ভাগের প্রস্তাব দিয়ে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, যদি ২৪ শতাংশ মুসলমান ভারতে ৭৬ শতাংশ অমুসলিমদের সঙ্গে থাকতে না পারে তবে ৪৫ শতাংশ অমুসলিম বাংলায় ৫৫ শতাংশ মুসলমানের সাথে কীভাবে থাকতে পারে। তিনি তাঁর বক্তব্যের সাপেক্ষে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং এবং নোয়াখালী গণহত্যার কথাও উল্লেখ করেছিলেন।

 
সে সময় শ্যামাপ্রসাদের কথা মেনে কিংবদন্তি ঘনশ্যাম দাস বিড়লা সহ প্রায় সমস্ত বাঙালি হিন্দু আইনজীবী সহ হিন্দু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাঁর পাশে দাঁড়ান। এরপর ২০ জুন ১৯৪৭ সালে, বঙ্গীয় আইনসভার বিধায়কেরা ইউনাইটেড বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি ভারতের সাথে থাকবে নাকি পাকিস্তানে যাবে নাকি বিভক্ত হবে তা সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেন। সেসময় নানাবিধ আলোচনার শেষে অখণ্ড বাংলা বিধানসভায় বাংলা ভাগ করে পশ্চিমবঙ্গ গঠনের (West Bengal Day) সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল।  

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles