মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তখন এনসিপি (NCP) নেতা শরদ পাওয়ারকে অনুনয়-বিনয় করেছিলেন তাঁর দলের সিংহভাগ বিধায়ক। মাস দুয়েকের ব্যবধানে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) বদলে গেল এনসিপির সমীকরণ। এঁদের অনেকেই ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে। কেবল তাই নয়, শরদকে সরিয়ে সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বসানো হয়েছে তাঁরই ভাইপো অজিত পাওয়ারকে।
বান্দ্রায় বৈঠক
অজিত শিবিরের দাবি, বান্দ্রায় তাঁদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৪০ জন বিধায়ক। মহারাষ্ট্রের শিবসেনার শিন্ডে শিবির-বিজেপি জোট সরকারে যোগ দিয়েছে এনসিপির অজিত গোষ্ঠীও। মন্ত্রী হয়েছেন অজিত সহ ৯ এনসিপি বিধায়ক। বুধবার অজিত বলেন, সরকারে যোগ দেওয়ার দুদিন আগেই এনসিপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি আমি। বান্দ্রায় যাঁরা অজিতের (NCP) বৈঠকে হাজির ছিলেন, সেই বিধায়কদের ১০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারের হলফনামায় সই করিয়ে সমর্থনের অঙ্গীকার করতে হয়েছে। অজিতের বৈঠকেও শরদের ছবি টাঙানো হয়েছিল। তবে শরদের কন্যা সুপ্রিয়া সুলের ছবি ছিল না। শরদকে নিয়ে এদিন স্লোগানও দিতে দেখা গিয়েছে এনসিপির অজিত গোষ্ঠীকে।
শরদের নামে জয়ধ্বনি
এদিন শরদের নামে জয়ধ্বনি দিতে দেখা যায় মন্ত্রী ছগন ভুজবলকে। তিনি বলেন, শরদজি আমাদের গুরু। তাই আমরা গুরুদক্ষিণা দিয়েছি। ওঁর ভাইপোকে উপমুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছি। এর পরে পরেই অজিতকে মনোনীত করা হয় এনসিপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এদিকে, মঙ্গলবারই এনসিপির (NCP) পতাকা ও নির্বাচনী প্রতীক ঘড়ির অধিকার দাবি করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে অজিত গোষ্ঠী। তার আগেই অবশ্য কমিশনের কাছে হলফনামা দিয়ে ক্যাভিয়েট দাখিল করে শরদ-শিবির।
আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে, নির্দেশ আদালতের
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে এনসিপির বিধায়ক সংখ্যা ৫৩। দলত্যাগবিরোধী আইন এড়াতে অজিত গোষ্ঠীর প্রয়োজন ৩৬ জনের সমর্থন। শরদ শিবিরের অভিযোগ, ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে বিধায়কদের বন্দি বানিয়েছে অজিত গোষ্ঠী। মঙ্গলবার রাতে অজিত গোষ্ঠী থেকে শরদ শিবিরে ফেরা দুই বিধায়ক কিরেন লহমাটে এবং অশোক পাওয়ারও চাপ সৃষ্টির অভিযোগ করেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিকে, উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর অজিত (NCP) বলেন, আমিও একদিন মুখ্যমন্ত্রী হব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours