মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরকাণ্ডের পর এবার হাবড়ার (Habra) বাণীপুর। স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। প্রাণের ভয়ে গভীর রাতে হস্টেলের উঁচু পাঁচিল টপকে রাতের অন্ধকারে প্রায় ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাড়ির দিকে পালায় ওই পড়ুয়া। কিন্তু, মাঝপথে ওই পড়ুয়াকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পথ আটকায় বাজারের নৈশপ্রহরীরা। পরে, হাবড়া থানার পুলিশের উপস্থিতিতে রাতেই ছেলেটির বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ঠিক কী অভিযোগ?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে নিন্দার ঝড় রাজ্য জুড়ে। এরই মধ্যে হাবড়া (Habra) পুরসভার ওই স্কুলে উঠল র্যাগিংয়ের অভিযোগ। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়া র্যাগিং এর শিকার হন উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের কাছে। প্রথমে ওই নবম শ্রেণির পড়ুয়াকে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে জ্যামিতি বক্সের কম্পাস দিয়ে ওই পড়ুয়ার হাত কেটে দেওয়া হয়। এক প্রকার প্রাণ বাঁচতে বাদুড়িয়া থানার মাদ্রা এলাকার ওই পড়ুয়া গভীর রাতে হস্টেল থেকে পালিয়ে যায়। রাতের অন্ধকারে ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাওয়ার পরে হাবরা থানার কুমড়া বাজার এলাকায় বাজারের পাহারায় থাকা পাঁচ নৈশপ্রহরী যুবক স্কুল পড়ুয়ার পথ আটকায়। তখনই গোটা ঘটনা সে খুলে বলে। পরে, নৈশপ্রহরীদের পক্ষ থেকে হাবড়়া থানায় খবর দেওয়া হয়। একইসঙ্গে খবর দেওয়া হয় পড়ুয়ার বাড়িতে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপরে ওই পড়ুয়াকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। নবম শ্রেণির পড়ুয়ার বক্তব্য, সামান্য বিষয় নিয়ে সিনিয়রা আমাদের উপর অত্যাচার করে। জল না নিয়ে আসার কারণে আমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। কম্পাস দিয়ে আমার হাত কেটে দেওয়া হয়।
কী বললেন নৈশ প্রহরীরা?
হাবড়া (Habra) বাজারের দায়িত্বে থাকা নৈশ প্রহরীরা বলেন, আমরা না দেখলে হয়তো ওই স্কুল পড়ুয়ার বড় বিপদ হত। একদিকে যাদবপুরে এরকম ঘটনা ঘটেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে কি করে একটি ছেলে র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে হস্টেল থেকে বেরিয়ে এত বড় পাঁচিল টপকে দশ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এলো? এত রাতে পালিয়ে আসতে গিয়ে পথেও তো ছেলেটির বড় কোনও বিপদ হতে পারত? স্কুল এবং হস্টেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours