Murshidabad: মুর্শিদাবাদের গরিব নাপিত রাতারাতি হয়ে গেলেন কোটিপতি

অশান্তির ভয়ে লুকিয়ে রাখা লটারির টিকিটে কোটিপতি হলেন গরিব নাপিত
Murshidabad_(8)
Murshidabad_(8)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা। সামান্য রোজগার করে পরিবারের পাশে না দাঁড়িয়ে নিজের ভাগ্য পরীক্ষার জন্য লটারি কাটতেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের বাসিন্দা রবিউল শেখ। পেশায় তিনি নাপিতের কাজ করেন। তাঁর রোজগার খুবই কম। কিন্তু, তাঁর নেশা এমনই যে সেই উপার্জনের বেশির ভাগই খরচ করতেন লটারির টিকিট কিনতে। এ নিয়ে সংসারে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকত। বিদ্যুতের বিল মেটাতে না পারায় বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সন্তানদের গৃহশিক্ষকের মাসিক বেতনটুকুও মাঝে মাঝে দিতে পারেন না বলে ঝামেলা হয়েছে। তবু, প্রতিদিন লটারির টিকিট কেটে গিয়েছেন। রবিউল পরিবারে অশান্তির ভয়ে এ বারের লটারির টিকিট কেনার কথাটা বাড়ির কাউকে বলেননি। সেই লুকিয়ে রাখা টিকিটেই ভাগ্য খুলে গেল তাঁর। সোমবার রাত পর্যন্ত গরিব নাপিত রবিউল মঙ্গলবার হয়ে গেলেন কোটিপতি। সকাল থেকে রবিউলের বাড়িতে উপচে পড়ছে প্রতিবেশীদের ভিড়।

কবে লটারি কেটেছিলেন রবিউলসাহেব ? (Murshidabad)

মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের রঘুনাথপুর মালিপাড়া গ্রামে বাড়ি রবিউলের। তাঁর একটি গুমটি দোকান আছে। সেখানে লোকের চুল-দাড়ি কাটেন তিনি। যেদিন খদ্দের খুব ভাল হয়, সে দিন আয় হয় দেড়শো থেকে দুশো টাকা। এই সামান্য রোজগারে তিনি নিয়মিত লটারি কাটতেন বলে অভিযোগ। এ হেন রবিউল ১৭ সেপ্টেম্বর এলাকার একটি দোকান থেকে ৬০ টাকায় একটি লটারির টিকিট কাটেন। আবার এ নিয়ে ঝগড়া হবে বলে বাড়ির কাউকে কিছু বলেননি। রাতে মিলিয়ে মিলিয়ে দেখছিলেন টিকিট নম্বর। সোমবার রাতে এক জন ফোন করে বলেন, 'লটারি লেগেছে তোর।' প্রথমে এই কথা বিশ্বাসই করতে পারেননি রবিউল। বার বার নম্বর মিলিয়ে দেখতে থাকেন। ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে বুঝতে পেরে মঙ্গলবার সেই টিকিট নিয়ে তিনি হাজির হন থানায়। পুলিশি নিরাপত্তায় সুরক্ষিত করা হয় রবিউলের লটারির টিকিট।

সদ্য কোটিপতি রবিউল ও তাঁর মায়ের কী বক্তব্য?

সদ্য কোটিপতি হওয়া রবিউলের বক্তব্য, কত অশান্তি সহ্য করেছি। তবুও স্বপ্ন দেখা ছাড়িনি। বাড়ির লোকের ভয়ে টিকিট কেটে লুকিয়ে রাখতাম। টিকিট মেলাতে গিয়ে এক কোটি টাকার পুরস্কার পেয়ে গেলাম। খুবই ভালর  লাগছে। ছেলের লটারি জেতা নিয়ে রবিউলের মা নাবেহার বিবি বলেন, ছেলের চিন্তায় ঘুম হত না আমার। কী ভাবে নাতি নাতনির পড়াশুনা করাবে, সেটাই ভাবতাম। এত দিনে ওর সপ্ন সত্যি হয়েছে। ভাল লাগছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles