Ayodhya Ram Mandir: ১০৮ ফুট! ভদোদরা থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে বিশাল ধূপকাঠি

রাম মন্দিরের উদ্বোধনে বিশেষ আকর্ষণ ১০৮ ফুটের ধূপকাঠি….
Ayodhya_Ram_Mandir
Ayodhya_Ram_Mandir

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) জন্য ১০৮ ফুট লম্বা এবং সাড়ে ৩ ফুট চওড়া একটি ধূপকাঠি তৈরি করা হয়েছে। এই ধূপকাঠি তৈরি হয়েছে গুজরাটের ভাদোদরায়। এই বিশাল মাপের ধূপকাঠি অর্পণ করা হবে ২২ জানুয়রি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনেই। প্রভু শ্রীরাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য এই ৩৫০০ গ্রাম ওজনের এই ধূপকাঠিকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ধূপকাঠি বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামানায় তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মাণকারী। ভক্ত মহলে এই অভিনব ধূপকাঠিকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা।

এই ধূপকাঠির নির্মাতা কে?

সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিশাল আকৃতির ধূপকাঠি নির্মাণের শিল্পী হলেন গুজরাটের ভাদোদরা তালশালি এলাকার ভিহাভাই ভারওয়াদ নামের এক ব্যক্তি। আরও জানা গিয়েছে, তিনি গত ছয় মাস ধরে পরিশ্রম করে এই ধূপকাঠি তৈরি করেছেন। তবে এই মাসের শেষেই এর কাজ সম্পন্ন হবে। রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) জন্য নিবেদন করা হবে এই ধূপকাঠি। এর আগেও তিনি ১১১ ফুটের আরও একটি বিশাল ধূপকাঠি তৈরি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। 

 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by DeshGujarat (@deshgujaratinsta)

নির্মাণে কী কী ব্যবহার করা হয়েছে?

জানা গিয়েছে এই বৃহৎ ধূপকাঠি নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ৩০০ কেজি গোবর, ৯১ কেজি গব্য ঘি, ২৮০ কেজি দেবদারু গাছের কাঠ, ৩৭৬ কেজি গুগল, ২৮০ কেজি তেল, ২৮০ কেজি জাব, ৩৭০ কেজি কোপারা গুঁড়ো এবং ৪২৫ কেজি হবন বা আহুতির মশলা। এই কাজে বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় সাংসদ সদস্য রঞ্জাবেন ভট্ট। তিনি প্রত্যেক দিন এই কাজে দুই থেকে তিন ঘণ্টা করে সময় ব্যয় করেছেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধূপকাঠিকে নিয়ে মন্দিরের প্রচার করা হবে।

কেমন হবে যাত্রা পথ?

ভাদোদরা থেকে অযোধ্যা (Ayodhya Ram Mandir) প্রায় ১৮০০ কিমি দূরত্ব। এই বিশাল আকৃতির ধূপ কাঠি লম্বা ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হবে অযোধ্যায়। ধুপকাঠি নিয়ে যাওয়ার যাত্রাপথ হবে, ভাদোদরা হয়ে হালোল, কালোল, গোধরা, শহেরা, আরাবল্লি, মোদাসা, শামলাজি, খেরওয়াদা, উদয়পুর, মালভাদা, সাভারিয়া শেঠ মন্দির, চিত্তোর, ভিলওয়ারা, দাদিয়া, কিষাণগড়, জয়পুর, ঘোসা মেহেন্দিপুর, বালাজি চোরায়া হয়ে ভরতপুর। এরপর আবার আগরা থেকে লখনউ, ইটাভা, কানপুর, উনাও, বরাবাঁকি হয়ে পৌঁছাবে অযোধ্যায়। ভক্ত মহলে এই নিয়ে তীব্র উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles