Chhattisgarh Waqf Board: শুক্রবারের ‘খুতবা’ দিতে হলে আগাম অনুমতি নিতে হবে, ছত্তিশগড়ের মসজিদগুলিকে নির্দেশ

BJP: ‘মসজিদগুলিকে রাজনৈতিক আড্ডায় পরিণত করা উচিত নয়’, বলছে ছত্তিশগড় ওয়াকফ বোর্ড...
mathura_mosque
mathura_mosque

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন নির্দেশ ছত্তিশগড় ওয়াকফ বোর্ডের (Chhattisgarh Waqf Board)! তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শুক্রবার নমাজ আদায়ের সময় দেওয়া সমস্ত ধর্মীয় বক্তব্যের আগাম অনুমোদন করাতে হবে (BJP)। রাজনৈতিক অশান্তি এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলেও জানিয়ে দিয়েছে ওয়াকফ বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান সলিম রাজ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেন, “মসজিদে দেওয়া ভাষণ হওয়া উচিত কেবল ইসলামি শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে। বক্তৃতায় রাজনৈতিক বিষয় এড়িয়ে চলা উচিত।”

কী বলছেন ওয়াকফ বোর্ড প্রধান? (Chhattisgarh Waqf Board)

গত মাসেই ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন সলিম। তিনি রাজ্যে বিজেপি-র সংখ্যালঘু শাখার প্রধানও। হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সলিম বলেন, “ধর্মীয় স্থানগুলোকে রাজনৈতিক আড্ডায় পরিণত করা উচিত নয়। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের জন্য, আর খুতবা (ধর্মীয় বক্তব্য) শুধুমাত্র ইসলাম ও আল্লাহ্-র বার্তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।”

সরকার বিরোধী বক্তব্য

জানা গিয়েছে, বোর্ড ৩ হাজার ৮০০টি মসজিদে এই নির্দেশ কার্যকর করার পরিকল্পনা করেছে। এটি শুরু হবে এই শুক্রবার থেকেই। সলিম জানান, এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে কিছু মসজিদে সরকার-বিরোধী বক্তব্যের অভিযোগ পাওয়ার পরে। এই অভিযোগ এসেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি থেকে। সলিমের এই নির্দেশের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি। এআইএমআইএমের পাশাপাশি কংগ্রেসও রয়েছে সমালোচকদের মধ্যে। এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি সলিমের এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেছেন।

তাঁর দাবি, এটি (Chhattisgarh Waqf Board) সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে, যা ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়। তিনি বলেন, “ওয়াকফ বোর্ডের খুতবার আগে (Chhattisgarh Waqf Board) অনুমোদন নেওয়ার আইনি কোনও ক্ষমতা নেই। থাকলেও এটি অসাংবিধানিক হবে।” সমালোচনা করেছে কংগ্রেসও। তাদের বক্তব্য, এটি বাকস্বাধীনতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ। দলের মুখপাত্র সুশীল আনন্দ শুক্লা বলেন, “ওয়াকফ বোর্ড সম্পত্তি পরিচালনা করে। কিন্তু মসজিদে প্রদত্ত খুতবার বিষয়বস্তু নির্ধারণের কোনও ক্ষমতা তাদের নেই।”

আরও পড়ুন: ‘‘এক দশকে দেশের ২৫ কোটি মানুষের দারিদ্রতা দূর করা গিয়েছে’’, জি২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

বিজেপির মুখপাত্র তৌকির রাজার বক্তব্য, ধর্মীয় স্থানে অবাধ রাজনৈতিক বক্তব্য উত্তেজনা বাড়াতে পারে। কাশ্মীরের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “সেখানে ফতোয়া হিংসকে উৎসাহিত করেছে, যার ফলে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর আক্রমণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা নিশ্চিত করছি যে (BJP) মসজিদগুলি যেন রাষ্ট্রবিরোধী বা বিতর্কিত কার্যক্রমে ব্যবহৃত না হয় (Chhattisgarh Waqf Board)।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles