Kali Puja 2024: কেউ মায়ের হাজারটি হাত গুনতে পারেননি! জানুন শিবপুরের হাজার হাত কালীর মাহাত্ম্য

Howrah: হাওড়ার শিবপুরে হাজার হাত কালীতলায় প্রায় ২৫ ফুট উঁচু মায়ের মূর্তি বিস্ময় জাগায়
Daily-News-Reel-Hajar-Haat-Kali-Temple-of-Shibpur-Howrah-728x375
Daily-News-Reel-Hajar-Haat-Kali-Temple-of-Shibpur-Howrah-728x375

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ভারতে বিশেষ জনপ্রিয় হাজার হাত কালী। হাওড়ার শিবপুরে হাজার হাত কালীতলায় (Kali Puja 2024) প্রায় ২৫ ফুট উঁচু মায়ের এই মূর্তি রয়েছে। শিবপুর ওলাবিবিতলায় হাজার-হাত কালীর মন্দির রয়েছে। শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরে প্রতি বছর ধুমধাম করে পুজোর আয়োজন করা হয়। দেবীর নাম থেকেই এলাকার নাম হয়েছে হাজারহাত কালীতলা। শোনা যায়, এখনও পর্যন্ত কেউ মায়ের হাজারটি হাত গুনতে পারেননি। গোনা বারণও রয়েছে।

মন্দির তৈরির ইতিহাস

কলকাতার চোরবাগানের আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই মন্দির গড়ে ওঠে। শিবপুরে হাজার হাত কালী মন্দিরের প্রতিষ্ঠা নিয়েও অনেক ইতিহাস রয়েছে। প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী, স্থানীয় মুখোপাধ্যায় বাড়ির ছেলে তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে মা চণ্ডী স্বপ্নাদেশ দিয়ে কালীর এই রূপ দেখান এবং মন্দির তৈরির আদেশ দেন। লোকে তাঁকে তান্ত্রিক আশুতোষ তর্করত্ন নামেও চেনেন। আশুতোষ দেশের বিভিন্ন তীর্থস্থান ঘুরে বেড়াতেন। পুজোপাঠ, ধ্যান, সাধনা নিয়ে থাকতেন তিনি। এক বার স্বপ্নে কালীর এই হাজার-হাতের রূপ দেখতে পান আশুতোষ। ওলাবিবিতলায় যেখানে আজ এই মন্দির গড়ে উঠেছে, সেই জায়গাটিরও স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্নাদেশ মতো মন্দির গড়ার জন্য ১২৫ টাকায় হালদার পরিবারের কাছ থেকে ৩ কাঠা জায়গা কিনে মাটির মন্দির তৈরি করেন আশুতোষ। ১৮৭০ সালে সেই মন্দির গড়ে ওঠে। কুমোরটুলির প্রিয়নাথ পাল বিগ্রহ বানান। চণ্ডীপুরাণ অনুযায়ী, অসুর বধের সময়ে দেবী দুর্গা অনেক রূপ ধারণ করেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম তাঁর হাজার-হাতের রূপ। চণ্ডীপুরাণের সেই বর্ণনা মতো হাজার-হাতের কালী মূর্তি তৈরি করা হয়।

আরও পড়ুন: মা তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপাকে! জানুন তারাপীঠের মাহাত্ম্যকথা

মা কাউকে ফেরান না

প্রাচীন প্রথা মেনে আজও মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা এখানে পুজো (Kali Puja 2024) করে আসছেন। মায়ের পুজো ও মঙ্গলারতিতে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয় সেজন্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মায়ের মন্দিরের নামে বেশ কিছু সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন। সেই সম্পত্তি থেকেই আয় যা আসে, তা থেকে মায়ের পুজো করা হয় ও মন্দিরের সংস্কার করা হয়। কালীপুজোর দিনে পুণ্যার্থীদের ভিড় এতটাই হয় যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করতে হয়। বিশ্বাস, মায়ের কাছে কিছু প্রার্থনা করলে সেটি পূর্ণ হয়। শোনা যায়, প্রায় ৬০ বছর আগে শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের এক শুক্রবার দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা কৃষ্ণা সুব্রহ্মণ্যম এই মন্দিরে এসেছিলেন। তখন তিনি দৃষ্টিহীন। হাজার-হাত কালীর কাছে দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রার্থনা করেন। এক বছরের মধ্যে তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান। তার পর থেকে তিনি মায়ের মাহাত্ম্য প্রচার শুরু করেন দক্ষিণ ভারত জুড়ে। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।-

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles