Yahya Sinwar: ভাঙা হয় দাঁত, কাটা হয় তর্জনী! সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করাই লক্ষ্য ছিল ইজরায়েলের

Hamas: ময়নাতদন্তে বিস্ফোরক তথ্য, জানেন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যু কীভাবে নিশ্চিত করে ইজরায়েল?
skynews-yahya-sinwar-idf_6719258
skynews-yahya-sinwar-idf_6719258

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথায় গুলি লেগেই মৃত্যু হয়েছিল হামাস প্রধান (Hamas leader death) ইয়াহিয়া সিনওয়ারের (Yahya Sinwar)। ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর ৮২৮ ব্রিগেড অভিযান চালাচ্ছিল তেল আল সুলতান নামে একটি অঞ্চলে। সেই অভিযান চালানোর সময়েই তাঁরা দেখতে পান সিনওয়ারের দেহ পড়ে রয়েছে। মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করে সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় ইজরায়েলের তরফে। 

ডিএনএ পরীক্ষা করে মৃত্যু নিশ্চিত করাই লক্ষ্য

সিএনএন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মাথায় গুলি করে হামাস প্রধানকে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর ডান হাতের একটি আঙুলও কেটে নেওয়া হয়। সিনওয়ারের (Yahya Sinwar) দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ময়নাতদন্তকারী এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকলেও মাথায় গুলি লাগার কারণেই সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাথার খুলির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ ছাড়া, ট্যাঙ্ক শেলের আঘাতেও গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃতদেহের ডান হাতের তর্জনী ছিল না। মৃত্যুর পরেই তা কাটা হয়েছে। হামলার পর ইজরায়েলি (Israel) সেনা সিনওয়ারের মৃতদেহ থেকে ওই আঙুল কেটে নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্যই আঙুল কাটা হয়।

আরও পড়ুন: উচ্ছ্বাস ইজরায়েলে, হামাস প্রধান সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত ডিএনএ পরীক্ষায়

ভাঙা দাঁত দিয়ে ডিএনএ মেলানোর চেষ্টা

প্রায় দু’দশক ধরে ইজরায়েলের জেলে বন্দি ছিলেন সিনওয়ার (Yahya Sinwar)। ২০১১ সালে ছাড়া পান তিনি। ইজরায়েলের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ফরেন্সিক মেডিসিনের চিফ প্যাথোলজিস্ট চেন কাগেল জানিয়েছেন, সিনওয়ার জেলে থাকাকালীন তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে প্রোফাইল ছিল, তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় কাটা আঙুলের প্রোফাইল। তবেই ইজরায়েল নিশ্চিত হয়। জানা গিয়েছে, দাঁতও ভেঙে নেওয়া হয়েছিল। ভাঙা দাঁত দিয়ে ডিএনএ মেলানোর চেষ্টা করেছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না বলে জানিয়েছেন ওই প্যাথোলজিস্ট। তাই আঙুল কেটে নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, সিনওয়ারের মৃত্যুর পর ইতিমধ্যেই নেতৃত্ব সঙ্কট তৈরি হয়েছে হামাসের অন্দরে। এক জন রাজনৈতিক নেতার সন্ধান করছে তারা, যিনি গাজার বাইরে থেকে সংগঠন পরিচালনা করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর পর হামাসকে (Hamas) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles