মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে তরুণীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। সিসিটিভি ক্যামেরা সূত্রে পাওয়া তথ্য, অভিযুক্তের দাবি, পরিবারের দাবি-সব মিলিয়ে নানারকম তথ্য আসছে, যার প্রত্যেকটিই চাঞ্চল্যকর। প্রেমিকের সঙ্গে অন্য তরুণীর সম্পর্কের জেরেই কি মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণনগরের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর? শুক্রবার দেহ উদ্ধারের ৩ দিন পর উঠে আসছে এমনই তথ্য। চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে এদিন কথা বলেন।
অন্য তরুণীর সঙ্গে সিনেমা হলে নির্যাতিতার প্রেমিক! (Nadia)
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ধৃত যুবক রাহুলের সঙ্গে নিহত তরুণীর (Nadia) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সম্পর্কে অবনতি হয়। অন্য এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রাহুল। তার জেরেই কি মৃত্যু হয়েছে তরুণীর? উঠছে প্রশ্ন। কৃষ্ণনগরে তরুণীর দগ্ধ, বিবস্ত্র দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বৃহস্পতিবারই সিট গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। শুক্রবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক রাহুল বসুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল নিহত তরুণীর। রাহুলকে নিজের স্বামী বলে তিনি পরিচয় দিতেন বন্ধুমহলে। এমনকী তরুণীর ফোনেও রাহুলের নম্বর হাজব্যান্ড লিখে সেভ করা রয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সম্প্রতি তরুণীর সঙ্গে রাহুলের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। তলানিতে পৌঁছেছিল সেই সম্পর্ক। এর পর তরুণীরই এক বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রাহুল। মঙ্গলবার ২ জন রানাঘাটে একটি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। বিকেল পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। পরে কৃষ্ণনগর ফেরেন। রাহুলই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন সুকান্ত
মৃত্যুর আগের দিন ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশের দাবি, মৃত্যুর আগের দিন কৃষ্ণনগর (Nadia) শহরের একাধিক রাস্তায় একা ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তরুণী। ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে কলেজ মাঠের কাছে রাত সাড়ে নটার পর থেকে তরুণীর গতিবিধি পাওয়া গিয়েছে। ধৃত রাহুলের উপস্থিতিও পাওয়া গিয়েছে কলেজ মাঠে। অথচ পুলিশের কাছে রাহুল দাবি করেছেন, তাঁদের সেদিন দেখা হয়নি। রাহুলের দাবি, 'আমি খুন করিনি। ফোনে কথা হয়েছিল আমি কোথায়, আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখিস না, এইটুকু।' কিন্তু দেখা গিয়েছে, রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ তরুণী ও রাহুল উভয়েরই মোবাইল টাওয়ার লোকেশন একই অঞ্চলেই ছিল।
ময়না তদন্তে কী মিলল?
বৃহস্পতিবার তরুণীর (Nadia) দেহের ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, ধর্ষণের কোনও স্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি। তবে মৃত্যুর আগেই তরুণীর গায়ে আগুন ধরানো হয়েছিল। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্ভবত সেই আগুনেই তরুণীর দেহের পোশাক পুড়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ১টি বোতল ও ২টি দেশলাই বাক্স। তার মধ্যে ১টি খোলা অবস্থায় ছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তরুণী। কিন্তু সমস্ত সম্ভাবনা খোলা রেখে তদন্ত চালিয়ে যেতে চায় তারা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours