মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না। দুই দেশের স্বার্থে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকা খুবই জরুরি। সম্প্রতি এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গত অগাস্ট মাসেই বাংলাদেশে পতন হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের। তারপর থেকে পদ্মা পাড়ে ভারত বিরোধী মনোভাব মাথা চাড়া দিয়েছে। এই আবহে ইউনূস ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার কথা বললেন। তাঁর দাবি, এই সম্পর্ক হতে হবে স্বচ্ছতা এবং সমতার ভিত্তিতে। এই সম্পর্ক দুই দেশের কাছেই প্রয়োজনীয়।
ইউনূসের মত
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস বললেন, "ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত করতেই হবে। কারণ বাংলাশের চাহিদা এবং ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক এবং আমাদের মধ্যে অনেক কিছুর মিল রয়েছে। আমাদের একটি পারস্পরিক ইতিহাস আছে। তাই আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধানের ওপরও জোর দেন ইউনূস।" তিনি বলেন, "সীমান্তের ওপারে জল বণ্টন ও মানুষের চলাচলের সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমাদের প্রশাসন এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে একসাথে কাজ করবে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এসব সমস্যা সমাধানের আন্তর্জাতিক উপায় রয়েছে তা খুঁজে বার করতে হবে।" সার্ক গোষ্ঠীকে পুনরায় শক্তিশালী করার কথাও বলেন ইউনূস।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটভাগের হিসেবে এগিয়ে বিজেপি, বেড়েছে আসনও
দিল্লির দাবি
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সুসম্পর্কের কথা বললেও ভারত মনে করে, ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের চলতি পদক্ষেপগুলি শুধুমাত্র বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রাণই বিপন্ন করছে না, বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তাকেও বিপদের মুখে ফেলছে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সমাজের সব রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সরকার ও প্রশাসনের অংশ করা। বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ণ বন্ধ হলে, সন্ত্রাস থামলে, তবেই দুই দেশের একসাথে গিয়ে চলা সম্ভব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours