Himachal Pradesh: হিমাচলে ভেঙেছিল বায়ুসেনার বিমান, ৫৬ বছর পর বরফের নীচে ৪ অবিকৃত দেহ

Plane Crash: এখনও শায়িত অনেকে, ৫৬ বছর পর বরফ কেটে উদ্ধার ৪ সেনার অক্ষত দেহ
1937852-iaf-plane-crash
1937852-iaf-plane-crash

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরফের নীচ থেকে ৫৬ বছর পর ৪ সেনাকর্মীর অবিকৃত দেহ উদ্ধার করা হল। দিনটা ছিল ১৯৬৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। চণ্ডীগড় থেকে ১০২ জন যাত্রীকে নিয়ে উড়েছিল বায়ুসেনার এএন-১২ (AN 12) বিমান। কিন্তু হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) রোটাং পাসের কাছাকাছি পৌঁছেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে। অবশেষে রোটাং (Rohtang) পাসেই যাত্রী সহ ভেঙে পড়ে বিমানটি (Plane Crash)। তারপর কেটে গিয়েছে দশকের পর দশক। কিছু দেহ উদ্ধার হলেও অধিকাংশেরই কোনও খোঁজ মেলেনি।

চলছে উদ্ধার অভিযান

২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী শৈলারোহণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা প্রথম ওই বিমানের বরফে ঢাকা ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান। এর পর থেকে ওই অঞ্চলে ভারতীয় সেনার ডোগরা স্কাউট দলের উদ্যোগে একাধিক উদ্ধার অভিযান হয়েছে। কিন্তু এত চেষ্টা করেও এ পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে মাত্র পাঁচটি দেহ। এ বার আরও চারটি দেহ উদ্ধার করলেন চন্দ্রভাগা পর্বত অভিযানের সদস্যেরা। যার ফলে সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া দেহের সংখ্যা দাঁড়াল ৯। লাহুল-স্পিতির এসপি মায়াঙ্ক চৌধরি জানান, সেনার একটি পর্বতারোহী দল স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে উদ্ধারের এই খবর দিয়েছে৷ তাঁর কথায়, ‘স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, চারটি দেহ পাওয়া গিয়েছে৷ ৫৬ বছর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার এএন-১২ বিমানটি চন্দ্রভাগা ১৩-র কাছে ভেঙে পড়ে ৷ অতীতেও এই দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ উদ্ধারে অভিযান (Himachal Pradesh)  চালানো হয়েছে৷ তখনও কিছু দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এর আগে ২০০৫, ২০০৬, ২০১৩ এবং ২০১৯ সালে তল্লাশি অভিযান হয়েছে। চারটি অভিযানে ৫টি দেহই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।

আরও পড়ুন: "ওঁর জীবন অনুপ্রেরণার", জাতির জনক গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী মোদির

মৃতদের পরিচয়

মৃতদের পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ জানায়, সাহরানপুরের বাসিন্দা মালখান সিং, উত্তরাখণ্ডের চামোলির নারায়ণ সিং, হরিয়ানার রেওয়াড়ির মুন্সি রাম ও কেরালার টমাস চেরিয়ানের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাঁর প্রত্যেকেই ভারতীয় সেনার ‘সেপাই’ পদে কাজ করতেন। মৃতদের আত্মীয়দের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী দেহগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। চেরিয়ানের পরিবারে মা ও ভাই রয়েছেন৷ তাঁদের ছেলের দেহ উদ্ধারের খবর দেওয়া হয়েছে৷ বিমান দুর্ঘটনার সময় টমাসের বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। খবর শুনে তাঁর ভাইয়ের প্রতিক্রিয়া, ‘এটা যন্ত্রণাদায়ক৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত দাদার দেহটা যে উদ্ধার হল, সেটা স্বস্তির। দাদার দেহাবশেষ পরিবারের সমাধি ক্ষেত্রে সমাহিত করা হবে।’ মালখান সিংকে শনাক্ত করা হয়েছে সরকারি রেকর্ড দেখে৷ নারায়ণ সিং সেনার মেডিক্যাল বিভাগে কাজ করতেন৷ তাঁকে সরকারি কাগজপত্রের নিরিখে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ লোসারে ময়নাতদন্তের পর দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, এই উদ্ধার অভিযান আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles