Antibiotics: অ্যান্টিবায়োটিকে বিষাক্ত পদার্থ! হদিশ জাল ওষুধ চক্রের! ভয়ঙ্কর তথ্য নাগপুর পুলিশের রিপোর্টে

Nagpur: গত ২০ সেপ্টেম্বর জাল ওষুধ চক্রের ওপর  ১,২০০ পৃষ্ঠার বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় নাগপুর পুলিশ, সেখানেই দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে ভুয়ো অ‌্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে গোটা মহারাষ্ট্রে
Medicine
Medicine

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জাল ওষুধের রমরমা কারবার। রোগ-ব‌্যধি উপশমকারী উপাদানের বদলে ওষুধে মিশে রয়েছে ট‌্যালকম পাউডার আর স্টার্চ। এমনই ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এল নাগপুর  (গ্রামীণ) পুলিশের (Nagpur) তদন্ত রিপোর্টে। গত ২০ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে ১,২০০ পৃষ্ঠার বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে ভুয়ো অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে গোটা মহারাষ্ট্রে। ওয়ার্ধা, নানদেড়, থানে সব জায়গায় এক চিত্র। জানা গিয়েছে, এর পিছনে রয়েছে একটি বড় চক্র। তবে শুধু মহারাষ্ট্র নয়, জাল ওষুধ যেত উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়েও।

হরিদ্বারের এক পশু-ওষুধের ল‌্যাবরেটরিতে তৈরি হত জাল ওষুধ

উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্যে সরবরাহ করা হত ভুয়ো অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) এবং তা খেতেন রোগীরা। জানা গিয়েছে, হরিদ্বারের এক পশু-ওষুধের ল‌্যাবরেটরিতে তৈরি হত ওষুধের নামে গায়ে মাখার সস্তা পাউডার আর স্টার্চের এই বিষাক্ত মিশ্রণ। আর তার পর সেই ‘ওষুধ’ পাঠিয়ে দেওয়া হত একের পর এক রাজ্যে। হাওয়ালা চক্রের মাধ‌্যমে মুম্বই থেকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে আসত কোটি কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মাসে নীতিন ভাণ্ডারকর নামে এক ড্রাগ ইনস্পেক্টরের হাত ধরে এই জাল ওষুধ চক্রের পর্দা ফাঁস হয়।

গ্রেফতার একাধিক অভিযুক্ত

জানা গিয়েছে, জাল ওষুধ চক্রের পর্দাফাঁসের সূত্রপাত নাগপুরের কলমেশ্বরের এক গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই পরিদর্শনে গিয়ে প্রথম নীতিন ভাণ্ডারকর বোঝেন, অ‌্যান্টিবায়োটিকের (Antibiotics) নামে ভুয়ো ওষুধ দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। তিনি ওষুধ সরবরাহকারী এবং বণ্টনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ফুড অ‌্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এফডিএ)। এরপরেই শুরু হয় তদন্ত। প্রথমেই গ্রেফতার করা হয় হেমন্ত মুলে নামে এক ব্যক্তিকে। পরে সেই সূত্র ধরেই পাকড়াও করা হয় মিহির ত্রিবেদী, বিজয় চৌধুরি, গগন সিং, রবিন তানেজা, রমণ তানেজাকে। এঁদের সূত্র ধরে খোঁজ মেলে হরিদ্বারের পশু ল‌্যাবরেটরির (Antibiotics)। এই ‌ল‌্যাবরেটরির মালিক অমিত ধীমান নামে এক ব‌্যক্তি, যিনি আগে থেকেই জেলবন্দি। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের মাথাদের ব্যাঙ্ক লেনদেন দেখা যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles