মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারের সদিচ্ছার অভাবে কর্মবিরতি থেকে সরলেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) পর নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়া চিকিৎসকরা। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের সেই সামান্য দাবি পূরণে ব্যর্থ মমতা প্রশাসন। দিনভর বৈঠকের পর বুধবার মধ্যরাতেও জুনিয়র চিকিৎসক ও রাজ্য সরকারের মধ্যে কোনও রফাসূত্র বের হল না৷ মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকররা জানিয়ে দিলেন, তাঁরা কর্মবিরতি (Junior Doctors Protest) থেকে সরছেন না৷ পাঁচ ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠক শেষে দৃশ্যতই হতাশ তাঁরা। এদিন নবান্ন সভাঘরে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
হতাশ জুনিয়র চিকিৎসকরা
বৈঠক শেষে জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষে অনিকেত মাহাতো সাংবাদিকদের বলেন, “মোট পাঁচটি দাবি আমরা পেশ করেছিলাম। তার মধ্যে কয়েকটা মানা হলেও, চার এবং পাঁচ নম্বর দাবি দু'টি নিয়ে আজ আলোচনা হওয়ার কথা ছিল৷ এর মধ্যে স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ, হাসপাতালগুলিতে সার্বিক নিরাপত্তা, থ্রেট কালচার ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে টাস্ক ফোর্স গঠন প্রাধান্য পেয়েছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকার আমাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে৷ তবে কয়েকটি জায়গায় অসুবিধে আছে৷ আমরা মুখ্যসচিবের কাছে আলোচনার কার্যবিবরণী চেয়েছিলাম৷ কিন্তু উনি সেটা দেননি৷ শুধু মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সরকারের মৌখিক আশ্বাসে আমরা রাজি ছিলাম না। সরকারের কার্যবিবরণী তৈরি করা এবং লিখিত আশ্বাস দেওয়ার এই অনীহায় আমরা হতাশ। তবে মুখ্যসচিব আমাদের বলেছেন বৃহস্পতিবার আমাদের দাবিগুলিকে খসড়া আকারে ওনার কাছে ইমেল করতে৷ তারপর ওনারা সিদ্ধান্ত জানাবেন। আমরা কাজে ফিরতে চাই৷ কিন্তু যতক্ষণ আমাদের ন্যায্য দাবিগুলি পূরণ না-হচ্ছে, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন এবং কর্মবিরতি চলবে।”
আরও পড়ুন: চাকরির বিনিময়ে জমি মামলায় লালু ও তাঁর দুই ছেলেকে তলব
সরকারের সদিচ্ছার অভাব
এদিন ৩০ জন জুনিয়র ডাক্তার বৈঠকে যোগ দিতে আসেন। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা বৈঠকের মিনিটসে সই করেননি। তাঁদের বক্তব্য, পাঁচ দফা দাবির পাঁচ নম্বর পয়েন্ট ছিল থ্রেট কালচারের অবসান। যার লক্ষ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, আরডিএ গঠনে নির্বাচন নিয়ে আশ্বাস মিলেছিল আলোচনা পর্বে। তবে মিনিটসে তার উল্লেখ নেই। মিনিটসে শুধু সুপ্রিম কোর্টে যে নিরাপত্তার বিষয়গুলো বলা ছিল, সেগুলিই রয়েছে। পঞ্চম দফা নিয়ে আলোচনা যেহেতু মিনিটসে নেই, তাই মিনিটসে সই করেননি আন্দোলনকারীরা। তাঁরা কাজে যোগ দিতে চাইলেও সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিষয়টি আটকে থাকছে বলে মত আন্দোলকারীদের। তাঁদের কথায়, “এদিনের আলোচনা হতাশাজনক। আজকের ঘটনায় প্রমাণ হল, কেন স্বচ্ছতার প্রশ্নে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। আমরা কিছুটা হলেও ভরসা হারিয়েছি।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours