CBI: আরজি করকাণ্ডে টালা থানার প্রাক্তন ওসির স্ত্রী, আরও ৪ পুলিশ অফিসারকে তলব

Kolkata Police: আরজি করকাণ্ডে সিবিআই তলব করল টালা থানার প্রাক্তন ওসির স্ত্রীকে, তালিকায় আর কারা রয়েছেন?
CBI_(17)
CBI_(17)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসককে নারকীয় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগের আঙুল উঠেছিল কলকাতা পুলিশের দিকে। নির্যাতিতার পরিবার বারবার দাবি করেছেন, তদন্ত করার বদলে প্রমাণ লোপাট করতে ব্যস্ত হয়েছিল পুলিশ। সিবিআই (CBI) তদন্তভার নেওয়ার পর টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। এবার কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) চারজন অফিসারকে সমন পাঠাল সিবিআই। তার মধ্যে দু'জন সাব ইনস্পেক্টর রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে তলব করা হয়েছে অভিজিতের স্ত্রী-কেও।

চারজন পুলিশ কর্মীর ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (CBI)

সূত্রের খবর, আপাতত তিনটি প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর খুঁজছে সিবিআই। এক, ধর্ষণ-খুনের ঘটনা কে ঘটাল? দুই, কী কী তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হল? তিন, সমগ্র ষড়যন্ত্রে কারা কারা জড়িত? এই তিনটি বিষয়েই একাধিক তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। সমন পাঠানো চারজন পুলিশ কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেই মনে করছেন সিবিআই (CBI) অফিসাররা। এই ঘটনায় তদন্তে নয়া মোড় ঘুরতে পারে বলেই মনে করছেন সকলে। খুলতে পারে 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের' দুয়ার। প্রসঙ্গত, সিবিআই আগেই জানিয়েছিল, খুন-ধর্ষণের পিছনে আরও বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। সে ষড়যন্ত্রে টালা থানার ওসির সঙ্গে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আঁতাত ছিল বলেই জানতে পেরেছে সিবিআই। তাতে যুক্ত থাকার সন্দেহেই আরও চারজন পুলিশ অফিসারকে সমন পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই চারজন পুলিশ অফিসার এলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপের নির্দেশেই পুলিশ অফিসাররা তদন্তে কারচুপি করেছেন। কেস ডায়েরিতেও অনেক গরমিল পাওয়া গিয়েছে। সেই সব স্পষ্ট করার জন্যই ওই চার পুলিশ অফিসারকে ডেকে জেরা করা হবে।

আরও পড়ুন: ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল! দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

কেন টালার প্রাক্তন ওসির স্ত্রীকে তলব?

টালা থানার প্রাক্তন ওসির স্ত্রীকেও তলব করল সিবিআই। সোমবারই তাঁকে সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা সমনে বলা হয়েছে। তলব করা হয়েছে আইনজীবী শঙ্খজিৎ মিত্রকেও। ওসির স্ত্রীকে তলব করা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, টালা থানার ওসি কর্তব্যে গাফিলতি করেছে বলে সিবিআই অভিযোগ করেছে। প্রমাণ লোপাটের কাজের সঙ্গে সে জড়িত। সন্দীপ ঘোষের নির্দেশে ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এমন কাজ করেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সিবিআই সূত্রে খবর, ওসির স্ত্রীর কাছে জানতে চান ওই ঘটনার পর অভিজিৎ বাড়িতে কিছু জানিয়েছিলেন কিনা। তাঁর আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েছিল কিনা, স্বামীকে দেখে স্ত্রীর সন্দেহজনক কিছু মনে হয়েছে কিনা, তাঁর স্বামী কিছু লুকোচ্ছেন কিনা, অভিজিৎ কাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছিলেন, ধর্ষণ-খুনের বিষয়ে কোনও তথ্য অভিজিৎ বাড়িতে জানিয়েছিলেন কিনা, সেসব জানতেই এই তলব।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles