মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Protest) প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ফের বড়সড় আন্দোলনে নামার ডাক দেওয়া হয়েছে। ফের কি নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) হতে চলেছে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ২৭ অগাস্ট অভিযানকে ঘিরে রীতিমতো সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে ওই কর্মসূচিতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেখে ফের একই ধরনের অভিযানে নামতে চলেছে ছাত্র সমাজ। শুক্রবার সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন নবান্ন অভিযানে ছাত্র সমাজের অন্যতম মুখ শুভঙ্কর হালদার। তবে কেমন কর্মসূচি হবে তা নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা। জানা যাচ্ছে, ছাত্র সমাজের দ্বিতীয় অভিযানে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি যোগ দেবে উত্তরবঙ্গের মানুষও।
আবারও কি নবান্ন অভিযান? (RG Kar Protest)
ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি শুভঙ্কর হালদার বলেন, "এখনই আমরা কী কর্মসূচি, তা বলব না। কারণ, কোনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। তবে আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন চলবে। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের যে দাবি আমরা তুলেছি, তা নিয়ে আরও বড় আকারে কর্মসূচির কথা ভাবা হচ্ছে।” খুব তাড়াতাড়ি কর্মসূচির ঘোষণা হয়ে যাবে বলেও দাবি শুভঙ্করের। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই দুর্গাপুজো। তবে, তার অনেক আগেই দ্বিতীয় অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে ছাত্র সমাজের। প্রসঙ্গত, ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযান সফল হয়েছে বলেই মনে করে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। তাদের ডাকে নবান্ন অভিযান ঘিরে সংঘর্ষের আবহ তৈরি হয় কলকাতা ও হাওড়ায়। কাঁদানে গ্যাস, জলকামানের পাশাপাশি লাঠিও চালায় পুলিশ। পাল্টা ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে মিছিল থেকে। কয়েকজন পুলিশকর্মী আহতও হন। অভিযানে আহ্বায়কদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সায়ন লাহিড়ী নামে এক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কলকাতা হাইকোর্ট সায়নকে জামিন দিলেও বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানেও সায়নের পক্ষেই রায় মেলে।
আরও পড়ুন: সাতসকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা ইডির, তালা খুলে ঢুকলেন অফিসাররা
আন্দোলনে যোগ দেবে উত্তরবঙ্গও
আদালতের সেই জয়কে পাথেয় করেই আবার কর্মসূচি নিতে চান শুভঙ্করেরা। তিনি বলেন, "সেদিন সাধারণ মানুষ আমাদের ডাকে যে ভাবে সাড়া দিয়েছেন তা এখনও পাচ্ছি। আদালতও জানিয়ে দিয়েছে, আমরা কোনও অন্যায় করিনি। তাই নির্যাতিতার বিচার এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি নিয়ে আমরা আরও বড় আকারে পথে নামব।” আন্দোলনে (RG Kar Protest) বিজেপির সমর্থন নিয়ে তিনি বলেন, "এটা তো লোকের কথা। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল যদি শাসকের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ায় তবে সমস্যা কোথায়? তবে আমার কোনও সাহায্য চাইনি এবং আগামী দিনেও চাইব না।” তিনি বলেন, "গত বুধবার রাতে সাধারণ মানুষের আন্দোলনের সময়ে কোচবিহারের মাথাভাঙায় অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা সেখানে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যাব।”তিনি বলেন, "উত্তরবঙ্গের অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা এমন কর্মসূচি নেব, যাতে গোটা রাজ্যের মানুষ অংশ নিতে পারেন। আর সেটা পুজোর আগেই হবে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours