মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলছে। চিকিৎসকদের লাগাতার আন্দোলনে ইতিমধ্যেই যোগ দেওয়ার কথা বলেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেছেন তাঁরা। এই আবহে সোমবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বাড়িতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।
আন্দোলন জোরদার করার ডাক (Sukanta Majumdar)
সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘রবিবার ধর্না মঞ্চ থেকে জানিয়েছিলাম, আরজি করের নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে দেখা করব তাঁর বাবা, মা'র সঙ্গে। সেই মতো নির্যাতিতার বাড়িতে এসে তাঁদের সমবেদনা জানালাম। ওর বাবা, মা অত্যন্ত মর্মাহত। তাই বেশি সময় আমি ছিলাম না। ওঁরা সবাইকে অনুরোধ করেছেন আন্দোলন চালিয়ে যেতে যাতে ন্যায়বিচার হয়। কী কারণে মেয়ের এই পরিণতি হল? সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। কোনও ধর্ষিতা এই রাজ্যে ন্যায় পাচ্ছে না। সব থেকে বড় উদাহরণ কামদুনি। তখন আইজি সিআইডি ছিলেন বিনীত গোয়েল। এখন উনিই কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তাই, পরিবারের সন্দেহ, আন্দোলন থেমে গেলে ন্যায়বিচার হবে না। সে জন্য আমিও আবেদন জানাচ্ছি সকলের কাছে। রাজনৈতিক রং দূরে সরিয়ে সকলে সামিল হন আন্দোলনে। যেভাবে আন্দোলন চলছে, তার থেকেও তীব্র প্রতিবাদ হওয়া উচিত।’’
আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল
নবান্ন অভিযান নিয়ে হুঁশিয়ারি
নবান্ন অভিযানে পুলিশের অনুমতি না-থাকা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী ভয়ে আছেন। কোনও অভিযানের জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয় না। নবান্ন অভিযান অরাজনৈতিক। এর প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। আগেও বলেছি সেখানে যাব না। তবে, এমন পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয় যেখানে আমাদের পথে নামতে বাধ্য করা হয়। নবান্ন অভিযানে পুলিশ দমন-পীড়ন করলে, বিজেপি পাল্টা নবান্ন অভিযানের ডাক দেবে।’’
ক্রাইম স্থল নাকি গরু চরার মাঠ!
আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) সেমিনার হলের ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘ওটা ক্রাইম স্থল নাকি গরু চরার মাঠ! সেটাই তো বোঝা দায়! দেখে মনে হচ্ছে, নাটকের পুরো স্ক্রিপ্ট রচিত হয়েছে আগেই। ওই ভিডিওতে সবকিছু প্রকাশ্যে চলে এসেছে। দেখে মনে হয়েছে, কী করতে হবে। কী বলতে হবে। সেই চিত্রনাট্য যেন আগে থেকেই তৈরি। অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে না বলে মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। কারণ, প্রমাণ গায়েব করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রমাণ ছিল মৃতদেহ। স্থানীয় বিধায়ক শ্মশান ও লোকাল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অন্য মৃতদেহ টপকে নির্যাতিতার দেহ দাহ করেছে। এরকম ঘটনা অন্য কোনও রাজ্যে ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। এখন তো আমার মনেও সন্দেহ, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে আদৌ অপরাধী কি?’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours