Suvendu Adhikari: “দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়, তত্ত্বাবধানে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

TMC MLA: হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতেই কি দ্রুত দেহ পুড়িয়ে দেয় পুলিশ? আক্রমণ শুভেন্দুর… 
Suvendu_Adhikari
Suvendu_Adhikari

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: "অতি দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। সম্পূর্ণ তত্ত্ববাধানে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক।" ঠিক এই অভিযোগ করে আরজি কর হত্যাকাণ্ডের ধামাচাপা দেওয়ার প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় গোটা দেশ এখন ক্ষোভে ফুঁসছে। পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। মৃতার বাবা-মাও পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে ছাত্রসমাজ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মাঠে ময়দানে, রাস্তায় নেমে ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন করছেন।

ঠিক কী বলেলন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সামজিক মাধ্যমে মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “শ্মশানে গোটা অপারেশন হয়েছে পুলিশের নির্দেশনায়। অতি দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। মমতার নির্দেশে ঘটনাস্থলে ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। মহিলা চিকিৎসকের দেহ দাহ করা হয় ব্যরাকপুর কমিশনারেট এলাকায় অথচ আশ্চর্য জনক ভাবে দেখা যায় বিষয়টির পরিচালনা করেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের দুই আইসি। সম্পূর্ণ ঘটনায় নজর রেখেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক। আর তাহলেই ধামাচাপা দেওয়ার বিষয় প্রকাশ্যে সামনে আসবে।” ঠিক এই ভাবেই তৃণমূল সরকার এবং পুলিশকে নিশানা করে সিবিআইকে দ্রুত তদন্তের জন্য আবেদন করেছেন তিনি।

পুলিশ একটা চাপ তৈরি করেছিল!

একইভাবে তড়িঘড়ি দাহ করা নিয়ে মুখ খুলেছেন নির্যাতিতা মহিলার বাবা-মা। মৃত ডাক্তারের বাবা-মা বলেন, মেয়ের সৎকারের সময় পুলিশ একটা চাপ তৈরি করেছিল। রাস্তায় জ্যাম ছিল, ধীরে ধীরে গাড়ি চলছিল। কিন্তু পুলিশ গাড়ির চালককে তাড়া দিচ্ছিলেন। প্রায় ৫০ কিমি বেগে শববাহী গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “কীভাবে শ্মাশানঘাটে আগে থেকে লাইন দেওয়া দুটি মৃতদেহ পেরিয়ে দাহ করে দেওয়া হল নির্যাতিতার দেহ, কেন এতো তাড়াহুড়ো?” উল্লেখ্য একইভাবে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘোলা থানা পর্যন্ত বিশাল পদযাত্রা করে প্রতিবাদ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অর্জুন সিং, কৌস্তভ বাগচি। এই পদযাত্রা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি আরও জারালো করেন। এরপর ধর্নামঞ্চে যান তিনি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles