BJP: বিজেপি’র স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে তুলকালাম সল্টলেকে, ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলেন কর্মীরা

Salt Lake: আরজিকর কাণ্ডে বিজেপির স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও অভিযানে ব্যাপক গন্ডগোল, ধস্তাধস্তি
BJP
BJP

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান কর্মসূচিতে বিজেপির মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল সল্টলেকে (Salt Lake)। বৃহস্পতিবার দুপুরে হিডকো থেকে বিজেপির (BJP) মিছিল শুরু হয়। গন্তব্য ছিল স্বাস্থ্য ভবন। মিছিলে পা মেলান সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং, অগ্নিমিত্রা পল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, হিরণ চট্টোপাধ্যায়রা। মিছিল কিছুটা এগোতেই স্বাস্থ্য ভবনের ৪ কিলোমিটার আগেই বিজেপি কর্মীদের পুলিশ বাধা দেয়। ফলে, পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মীরা স্বাস্থ্য ভবনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। এরই মাঝে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে একটি প্রিজন ভ্যানে পুলিশ তুলে নেয়। এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই ভ্যানও আটকে দেন ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। অন্যদিকে, মিছিল নিয়ে এগতে থাকলে অর্জুন সিং সহ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের দফায় দফায় ধস্তাধস্তি হয়। এদিন বিজেপি কর্মীদের প্রবল বিক্ষোভের সামনে পুলিশকে অনেক সময়ই অসহায় মনে হয়েছে। তারা লাঠি উঁচিয়ে বার বার তেড়ে গেলেও একরোখা বিজেপি কর্মীদের মনোবলে এতটুকু চিড় ধরাতে পারেনি।

শুভেন্দুকে আটক করতেই প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ (BJP)

পূর্ব ঘোষণা মতো বৃহস্পতিবার দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ রাজ্য বিজেপি নেতারা মিছিল নিয়ে রওনা দেন স্বাস্থ্য ভবনের উদ্দেশে। কিন্তু,অনেক আগেই রাস্তার ওপরে ব্যারিকেড তৈরি করে রেখেছিল পুলিশ। উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কায় আগে থেকেই বিশাল পুলিশবাহিনীও মোতায়েন ছিল স্বাস্থ্য ভবন যাওয়ার পথে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে চার কিলোমিটার দূরেই বিজেপির মিছিল আটকে দিতে চেয়েছিল পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মীরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতেই পুলিশ আটকে দেয় করুণাময়ীর আগে ইন্দিরা ভবনের সামনে। কিন্তু একটার পর একটা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় মিছিল। পুলিশের ব্যারিকেড টপকে অনেক বিজেপি কর্মী স্বাস্থ্য ভবনের দিকে যেতে শুরু করেন। পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, বিজেপি কর্মীদের বাধার কাছে পুলিশ পিছু হঠতে বাধ্য হয়।  মিছিল এগিয়ে যেতে থাকে। রাস্তার ওপরে আরও ব্যারিকেড ছিল। সেই সময়েই শুভেন্দু রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রিজন ভ্যানের দিকে এগিয়ে যান। পুলিশ তাঁকে টেনে গাড়িতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ। তাঁকে গাড়িতে তোলার পরেও মিছিল এগোতে থাকে। এর পরে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে পুলিশ আটক করে। তবে সুকান্ত পতাকা নিয়ে এগিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শমীককে তোলার সময়ে সুকান্তকেও গ্রেফতার করতে চায় পুলিশ। তবে, সেই সময় কর্মীরা ছিনিয়ে নেন সুকান্তকে। ঘটনার পর পরই সুকান্ত বলেন, "বাংলায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার একমাত্র সমাধান মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা। আর পুলিশ কমিশনারকে বরখাস্ত করতে হবে। সেই দাবিতেই এই অভিযান। বিচার না-পাওয়া পর্যন্ত পথেই থাকবে বিজেপি।”

আরও পড়ুন: ব্র্যান্ড ভ্যালু হারানোর ভয়! মিছিলে নেই, মেয়ের সঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সৌরভের

পুলিশকে ধাওয়া

এদিন মিছিলে রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি হাঁটেন প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অর্জুন সিংহেরা। মিছিলে আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে বিজেপি কর্মীরা প্রতীকী হাতকড়া, ফাঁসির দড়ি নিয়ে হাঁটেন। পুলিশের গাড়িতে বিরোধী দলনেতা-সহ কয়েক জন উঠে যাওয়ার পরেও নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। অনেক বিজেপি কর্মী পুলিশের ভ্যানের সামনে রাস্তায় বসে পড়েন। তবে খুব কম সময়ের মধ্যে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এর পরে অর্জুনকে প্রিজন ভ্যানে তুলতে গেলেও পুলিশকে ধাওয়া করে একদল বিজেপি কর্মী।  একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে থাকে বিজেপির মিছিল।

শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানায় বিক্ষোভ

মিছিলের সামনে থাকেন সুকান্ত, দিলীপের সঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। ব্যারিকেড ভেঙে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে যেতে চাওয়া অনেক কর্মীকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য দিকে, মিছিল এগোতে থাকে। পুলিশের গাড়িতে উঠেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রেফতার হওয়া কর্মীরা। অনেক বিজেপি কর্মী পুলিশের গাড়ির উপরে উঠেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তবে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিশাল পুলিশবাহিনী থাকায় বিজেপি কর্মীরা ভিতরে ঢুকতে পারেননি। এর পরে সুকান্ত, দিলীপরাও স্বাস্থ্য ভবন থেকে ২০০ মিটার দূরে রাস্তার ওপরে বসে পড়েন। পরে সেখানেই ছোট একটি সভা হয় বিজেপির। বক্তব্য রাখেন দিলীপ ও সুকান্ত। সুকান্ত বলেন, "পুলিশ অনেক বাধা দিলেও স্বাস্থ্য ভবনের প্রবেশ দ্বারে পৌঁছে গিয়ে সফল হয়েছে দলের অভিযান। রাজ্য সরকার এখনও আগুন নিয়ে খেলছে। কিন্তু এটা করে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আন্দোলন আরও তীব্র আকার নেবে। শুক্রবার রাজ্যের সর্বত্র সব থানায় বিক্ষোভ দেখাবে বিজেপি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles