RG Kar: সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার পরেই ভাঙা হল হাসপাতালের দেওয়াল! ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা? 

CBI: চেস্ট মেডিসিন বিভাগের দেওয়াল ভাঙা হল কেন? প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন
RG_Kar
RG_Kar

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্ক থামছে না। একের পর এক অভিযোগে উত্তাল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস (RG Kar)! কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের প্রশাসনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। প্রতিবাদে সামিল রাজ্যের চিকিৎসক মহল। বুধবার তাই রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসক এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন। বিশিষ্ট মহলের একাংশ জানাচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর পরে রাজ্য প্রশাসনের একের পর এক পদক্ষেপ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছে।

আদালতের নির্দেশের পরেই কী ঘটেছিল? (RG Kar)

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ সিবিআইকে দেন।‌ প্রধান বিচারপতি কলকাতা পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাধিক পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের দেওয়াল ভাঙা শুরু হয়। হাসপাতালের সেমিনার হল, যেখানে ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই সেমিনার হলের আশপাশের দেওয়াল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাঙার কাজ শুরু হয়। হঠাৎ কর্তৃপক্ষের দেওয়াল ভাঙার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই চিকিৎসক মহলের বিক্ষোভ শুরু হয়। জুনিয়র চিকিৎসকেরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আর তারপরেই তড়িঘড়ি কাজ বন্ধ হয়ে‌ যায়।

প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ কেন উঠছে?

চিকিৎসক মহলের একাংশ‌ জানাচ্ছে, ওই মহিলা চিকিৎসক চেস্ট মেডিসিন বিভাগের (RG Kar) স্নাতকোত্তর ট্রেনি ছিলেন। সেমিনার হলের আশপাশের জায়গায় অপরাধীদের হাতের স্পর্শ কিংবা অন্য কোনও প্রমাণ থাকতে পারে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ সেই দেওয়াল থেকেও একাধিক প্রমাণ জোগাড় করতে পারতেন। ঘটনাস্থল সিবিআই (CBI) কর্তারা দেখলে স্পষ্ট হত, আর কেউ বৃহস্পতিবার রাত্রে সেমিনার হলে ছিলেন কিনা, কিংবা কতজনের যাতায়াত হয়েছিল। কিন্তু সেই সব প্রশ্নের স্পষ্ট কিনারা হওয়ার আগেই দেওয়াল ভাঙার কাজ শেষ করে দেওয়া হল। একাধিক মার্বেল টাইলস ভেঙে দেওয়া হল। হাসপাতালের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে কেন এই ঘটনা ঘটল, সেটাও স্পষ্ট নয় বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কলকাতা পুলিশ প্রথমেই ঘটনাকে আত্মহত্যার তকমা দিতে চেয়েছিল। এ নিয়ে হাইকোর্টও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাছাড়া, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত থেকে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়ায় সব সময় টালবাহানা করেছে। মৃতার বাবা-মাকেও মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হচ্ছিল না, এমন অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ হাসপাতালের (RG Kar) দেওয়াল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত একাধিক প্রশ্ন তুলছে বলেই মনে করছে সব মহল। চিকিৎসকেরা এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বহির্বিভাগে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কী বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, যেসব দেওয়াল (RG Kar) ভাঙা হয়েছে, সেগুলো‌ বহু আগেই পরিকল্পনা করা ছিল। চিকিৎসকদের জন্য ভালো রেস্ট রুম তৈরির পরিকল্পনা ছিল। তাই ওখানে দেওয়াল ভেঙে রেস্ট রুম তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। তবে, স্বাস্থ্য সচিব দেওয়াল ভাঙা ও নতুন পরিকাঠামো তৈরির কাজ আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এখন আপাতত কাজ বন্ধ আছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles