মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিলম্বে যাতে আবেদনকারীরা টেটের (TET Case) শংসাপত্র পান, তা নিশ্চিত করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। সোমবার টেট মামলায় এমনই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি সিবিআইকেও একই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রাইমারি টেটে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী শংসাপত্র না পেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৪ সালের টেটের শংসাপত্র পাননি তাঁরা। সিবিআই ও পর্ষদের দ্বন্দ্বের কারণে আটকে ছিল বিষয়টি। সেই দ্বন্দ্বের গেরোই কাটল এদিন, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে।
পর্ষদের বক্তব্য (TET Case)
প্রাইমারি টেট মামলার শুনানিতে পর্ষদের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। পর্ষদ জানায়, টেটের কোনও শংসাপত্র তাদের কাছে নেই। এই শংসাপত্র মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সব নথি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। সিবিআই অবশ্য গত সপ্তাহেই আদালতে জানিয়ে দিয়েছে, সব নথিই পর্ষদকে দেওয়া হয়েছে।
আদালতের প্রশ্ন
এদিন আদালতের প্রশ্ন, এরা পাশ করেছে, আর বোর্ডের কাছে কোনও তথ্য নেই! বোর্ড কী করে বুঝতে পারছে যে এরাই পরীক্ষার্থী? এদিন নির্দেশে বিচারপতি সিনহা আদালতকে জানান, সিবিআইকে অবিলম্বে ওই সব শংসাপত্র পর্ষদের হাতে তুলে দিতে হবে। তিন সপ্তাহের মধ্যে তারা সেই সব শংসাপত্র তুলে দেবে আবেদনকারীদের হাতে। বিচারপতির নির্দেশ, ২০১৪ সালের টেটের ১ লাখ ২৬ হাজারের শংসাপত্র পর্ষদকে ফের দিতে হবে সিবিআইকে।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে হাঁড়ির হাল কর্নাটকের অর্থনীতির?
এক সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ (TET Case) শেষ করতে হবে সিবিআইকে। তার পর দুসপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীদের সব শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু করতে হবে পর্ষদকে। পর্ষদ জানিয়েছে, তাদের কাছে কিছু তথ্য রয়েছে। সেই তথ্য থেকেই সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে, সিবিআই জানিয়েছে, ওরিজিনাল কপি দিলে (Calcutta High Court) তদন্ত বাধা পেতে পারে। তাই ওয়ার্কিং কপি দেওয়া হবে (TET Case)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours