মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা সংস্কার (Bangladesh Protest) আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার ফেলার চেষ্টা করেছিল বিএনপি-জামাত। দাবি হাসিনা (Seikh Hasina) প্রশাসনের। সরকারিভাবে জানানো হল মৃত্যুর সংখ্যা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে নিহতদের একটা সংখ্যা এসেছে। তা হল ১৪৭। পরে সংখ্যাটি বাড়তে পারে। ১৪৭ জনের মধ্যে ছাত্র, পুলিশ, সাংবাদিক, পথচারী, হকার সহ নানান পেশার মানুষ রয়েছেন।”
সমন্বয়ের উপর চলছে অত্যাচার (Bangladesh Protest)
যদিও সরকারি সংখ্যা মানতে নারাজ আন্দোলনের সমন্বয়করা। সমন্বয়কদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে দাবি আন্দোলনকারী ছাত্রদের একাংশের। ইতিমধ্যেই নাহিদ ইসলাম সহ ৬ জন সমন্বয়ককে রাতের অন্ধকারে আটক করে তুলে নিয়ে যায় বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ। সমন্বয়কদের কোথায় আটকে রাখা হয়েছে এবং কবে ছাড়া হবে তা জানানো হয়নি। পরিবার দেখা করতে চাইলে, দেখা করেননি ডিবি কর্তারা। সমন্বয়কদের জোর করে আন্দোলন (Bangladesh Protest) প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। সমন্বয়করা তাঁদের হেফাজতেই রয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ। তিনি জানিয়েছেন ওদের (সমন্বয়ক) প্রাণের ভয় আছে। নিরাপত্তার কারণে তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নাহিদ ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন সমন্বয়ককে এর আগেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁদের উপর অত্যাচার করে ঢাকার রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখান থেকে ওফের তুলে নিয়ে যায় ডিবি। যদিও সরকারের দাবি, শিক্ষার্থীদের আড়ালে বিক্ষোভ এবং নাশকতা ছড়িয়েছে বিএনপি এবং তাঁদের মৌলবাদী শরিক দল জামাত-এ-ইসলামী। তাঁরা সরকার ফেলার অপচেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
সরকারী সম্পত্তি ছিল আন্দোলনকারীদের টার্গেট
বাংলাদেশ সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও একই দাবি করা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, নাশকতার (Bangladesh Protest) উদ্দেশ্য ছিল, সরকারের পতন ঘটানো। এই উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ টেলিভিশনের সদর দপ্তর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বিমানবন্দর দখল করার চেষ্টা হয়। একাধিক পুলিশ স্টেশন ছিল আন্দোলনকারীদের টার্গেটে। মেট্রো রেল এবং বেশ কয়েকটি সরকারি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল যেভাবে বাংলাদেশ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাঁর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
রাজশাহী
— DOAM বাংলা (@doamuslimsbn2) July 29, 2024
২৯ জুলাই ২০২৪#QuotaReform #QuotaProtest #StepDownHasina #Bangladesh #SaveBangladeshiStudents #Rajshahi #QuotaReformMovement pic.twitter.com/hlEREslAt4
ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে বাংলাদেশ সরকার (Seikh Hasina)
বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, “হিংসায় যাদের প্রাণ গিয়েছে, তাঁদের পরিবারকে সম্পূর্ণ সুবিচার দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Seikh Hasina), আবু সায়েদের পরিবার সহ বেশ কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে আর্থিক সহযোগিতার চেক তুলে দিয়েছেন। মৃতদের পরিবারের জীবন-জীবিকার প্রতি লক্ষ্য রাখা হবে, বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মুখে সহমর্মিতার কথা বললেও কোনওভাবেই (Bangladesh Protest) আন্দোলন দমনে পিছপা হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কাউকে দেখলেই গুলি মারার নির্দেশের আওতায় খতম করা হয়নি বলে দাবি করেছে হাসিনা প্রশাসন। তবু বিরোধীদের অভিযোগ, যারা আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না, শুধুমাত্র আন্দোলনের খবর ফেসবুকে শেয়ার করেছেন, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার কোনওভাবেই বিরোধিতা সহ্য করতে চাইছে না।
সরকার ফেলতে চেয়েছিল বিরোধীরা
সরকার , ছাত্র সমাজের সমাজের পাশে আছে বলে দাবি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Seikh Hasina) বলেন, আমরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। তবে তাঁদেরকে ঢাল বানিয়ে যেভাবে বিএনপি-জামাত জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন শুরু করেছে, আমরা সেটাকে কোনভাবেই বরদাস্ত করব না। অনেক কষ্ট করে এই দেশ আজকের এই পর্যায়ে এসেছে। মানুষের জীবনের মানের উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ পিছিয়ে যাক, এটা হতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সরকার (Bangladesh Protest) আন্দোলনের পাশে থেকেছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল সরকার। প্রধানমন্ত্রী নিজে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে ছাত্রদের দাবি শুনতে চেয়েছিলেন। সরকারের চেষ্টায় অবশেষে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার হয়েছে। এরপর হিংসাত্মক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, প্রধানমন্ত্রীর নিরন্তর আশ্বাস সত্ত্বেও বিএনপি-জামাত মিলিতভাবে হিংসায় ইন্ধন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশ, খুলল অফিস, ফিরল ইন্টারনেট
প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে একটি মন্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। আসলে তাঁরা চেয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর বাসস্থান গণভবনে সশস্ত্র আন্দোলনকারীদের ঢুকিয়ে দিতে। যাতে শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি তৈরি হয় বাংলাদেশে। গোটা ঘটনার যথাযথ তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours