মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজেন্দ্রনগরে আইএএস কোচিং সেন্টারে (Delhi IAS Coaching Centre) বেসমেন্টের জমা জলে ডুবে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, মোট গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭। ইতিমধ্যে দিল্লি পুরনিগম থেকে ১৩টি কোচিং সেন্টার সিল করে দিয়েছে। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার একাধিক রোমহর্ষ ভিডিও (Sensational video) সামনে আসতে শুরু করেছে। এই দুর্ঘটনার পর এবার বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে তৎপর হল দিল্লির প্রশাসন। সোমবার সকাল থেকে পুরনিগম বুলডোজার দিয়ে সেই নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করেছে। তবে নির্মাণ ভাঙার আগে পুলিশের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভাঙার কাজে উপস্থিত ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ভিডিও ভাইরাল (Delhi IAS Coaching Centre)
জলমগ্ন কোচিং সেন্টারের (Delhi IAS Coaching Centre) ভাইরাল একটি ভিডিওতে (Sensational video) দেখা যাচ্ছে, সেন্টারের বাইরে জলমগ্ন রাস্তায় জলের স্রোত ভেঙে দ্রুত গতিতে একটি গাড়ি ছুটে চলেছে। সেই গাড়ির গতি জলের উপরে ঢেউ তৈরি করেছে। এরপর সেই ঢেউ আছড়ে পড়ে কোচিং সেন্টারে। একাধিক মানুষের দাবি, সেই গাড়িটি দ্রুত গতিতে যাওয়ায় জলের তীব্র গতি কোচিং সেন্টারের দরজায় ধাক্কা মারে। এরপর তার জেরেই দরজা ভেঙে জল ঢুকে গিয়েছিল বেসমেন্টে। দিল্লি পুরসভার মেয়র শেলী ওবেরয় বলেছেন, “এই কোচিং সেন্টারগুলি বেআইনি ভাবে বেসমেন্ট ব্যবহার করছিল। সবগুলিকে সিল করে কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই সব কোচিং সেন্টারেই শুধুমাত্র গাড়ি পার্কিং এবং জিনিসপত্র রাখার গুদামঘরের অনুমতি ছিল। কিন্তু ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, এটা নিয়মবিরুদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ জুলাইয়ে কাশ্মীরে তাপপ্রবাহ! ২৫ বছরে রেকর্ড তাপমাত্রা, ছোটদের স্কুল বন্ধের নির্দেশ
১৩টি কোচিং সেন্টার সিল
রাজধানী দিল্লির ১৩টি কোচিং সেন্টার (Delhi IAS Coaching Centre) বন্ধ করে দিল দিল্লি পুরনিগম। এই কোচিং সেন্টারগুলির বিরুদ্ধে নির্মাণ বিধিনিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। কোচিং সেন্টারগুলি হল, আইএএস গুরুকুল, চাহাল অ্যাকাডেমি, প্লুটাস অ্যাকাডেমি, সাই ট্রেডিং, আইএএস ব্রিজ, টপার্স অ্যাকাডেমি, দৈনিক সংবাদ, সিভিল ডেইলি আইএএস, কেরিয়ার পাওয়ার, ৯৯ নোট, বিদ্যা গুরু, নির্দেশিকা আইএএস, ইজি ফর আইএএস। কোচিং সেন্টারে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই উত্তাল দিল্লি। একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। পুরনিগমের এক আধিকারিক বলেছেন, “কোচিং সেন্টারের মালিকের গাফিলতির লক্ষ্য করা গিয়েছে। যে নিয়ম বেসমেন্টের নিয়ম রয়েছে, তা এখানে ঠিক করে পালন করা হয়নি। জল ঢুকলেও অনেকেই বেরিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু তা ঘটেনি। প্রশাসনের আইনকে অমান্য করে বেসমেন্টের নিচে চলছে রমরমিয়ে ব্যবসা। গত বছর মুখার্জিনগরে একটি কোচিং সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডের পর কড়া নজরদারি শুরু করেছিল দিল্লি প্রশাসন।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours