মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশটা প্রযুক্তি নির্ভর। অথচ নয়া প্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করতে তাদের বড্ড অনীহা! এই দেশটির ৪০ শতাংশের বেশি কোম্পানি (Japanese Companies) এখনই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সংক্ষেপে এআই (AI) ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে না। আজ্ঞে, হ্যাঁ, শুনতে যেমন তেমন হলেও, এটাই ঘোর বাস্তব। অন্তত, সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। এআই হল একটি কম্পিউটার বা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবটের কাজ করার ক্ষমতা যা সাধারণত মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ওই সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, জাপানের বহু সংস্থা এআই ব্যবহার করলেও, ৪০ শতাংশের বেশি কোম্পানি এখনই এআই ব্যবহার করতে রাজি নয়।
সমীক্ষা রয়টার্সের (AI)
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের হয়ে সমীক্ষাটি করেছিল নিইকি রিসার্চ। জুলাইয়ের ৩ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে উদীয়মান সূর্যের দেশের ৫০৬টি কোম্পানির কাছে একগুচ্ছ প্রশ্ন রেখেছিলেন সমীক্ষকরা। উত্তর দিয়েছেন ২৫০ কোম্পানির কর্ণধাররা। নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তেই তাঁরা জবাব দিয়েছেন সমীক্ষকদের নানা প্রশ্নের। তার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে রিপোর্ট।
কী বলছেন উত্তরদাতারা?
জানা গিয়েছে, ২৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই তাঁদের ব্যবসায় এআই (AI) ব্যবহার করছেন। এআই ব্যবহার করার কথা ভাবছেন ৩৫ শতাংশ উত্তরদাতা। বাকি ৪১ শতাংশের এই জাতীয় কোনও পরিকল্পনাই নেই। যে দেশটা কর্পোরেট কালচারে অভ্যস্ত, সেখানেই কিনা উন্নত প্রযুক্তিকে সাদরে গ্রহণ করতে গিয়ে বস্তুত নাক সিঁটকোচ্ছেন কোম্পানির কর্ণধারদের একটা অংশ।
আরও পড়ুন: দেশে বিপুল চাহিদা কাউন্টার-ড্রোন সিস্টেমের, ৫ বছরে বৃদ্ধি কত হবে জানেন?
এআই ব্যবহার করার উদ্দেশ্য কী? প্রশ্নের উত্তরে উত্তরদাতাদের ৬০ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা শ্রমিকের ঘাটতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছেন। ৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য শ্রমব্যয় কমানো। ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তাঁরা এআই ব্যবহার করছেন গবেষণা এবং উন্নয়নের স্বার্থে।
এআই ব্যবহার করছেন, এমন অনেকে আবার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন। ১৫ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, গত বছর তাঁরা সাইবার হামলার শিকার হয়েছিলেন। ৯ শতাংশ উত্তরদাতা আবার জানিয়েছেন, তাঁদের ব্যবসায়িক অংশীদাররাও সাইবার হামলার শিকার হয়েছেন (Japanese Companies)। ৪ শতাংশ উত্তরদাতা আবার জানিয়েছেন, তাঁদের তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে (AI)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours