মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে শিশু শ্রম র্যাকেটের পর্দা ফাঁসের ঘটনায় এবার কড়া পদক্ষেপ করল উত্তরপ্রদেশ সরকার (Uttar Pradesh)। সম্পতি নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে রাজ্যের সমস্ত কসাইখানা পরিদর্শন করে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
ঠিক কী ঘটেছিল? (Child Labourers Issue)
গত ২৯ মে গাজিয়াবাদে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (NCPCR) উত্তরপ্রদেশ পুলিশের (Uttar Pradesh) সঙ্গে যৌথ অভিযানে একটি শিশু শ্রম র্যাকেটের পর্দা ফাঁস করেছিল। সেই অভিযানে ৫৭ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩১ জন মেয়ে এবং ২৬ জন ছেলে রয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই প্রতিবন্ধী। জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি গাজিয়াবাদে ইয়াসিন কুরেশির মালিকানাধীন একটি কসাইখানায় ঘটেছে। সেখানেই বেয়াইনিভাবে শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল ওই ৫৭ জন শিশুকে। খবর অনুযায়ী, উদ্ধার করা নাবালকদের গাজিয়াবাদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইউপি, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে নিয়ে আসা হত। এরপর তাদের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে কসাইখানায় তাদের দিতে অমানবিক কাজ (Child Labourers Issue) করানো হত। মূলত পশু জবাই ও প্যাকিংয়ের কাজেই তাদের নিয়োগ করা হত। দৈনিক ৩০০ টাকার বিনিময়ে তাদের দিয়ে এই কাজ করানো হত।
আরও পড়ুন: এবার খোলা হবে পুরী জগন্নাথ মন্দিরের 'ভিতর রত্নভান্ডার', ঘোষিত হল দিনক্ষণ
প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর মন্তব্য
এ প্রসঙ্গে, এনসিপিসিআরের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেছেন যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে খবর পাচ্ছিলেন। তবে নিশ্চিত খবর না পাওয়ায় এতদিন কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে সম্প্রতি গাজিয়াবাদের মুসৌরি এলাকায় ইন্টারন্যাশনাল এগ্রো ফুড কসাইখানায় উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে এই র্যাকেটের পর্দা ফাঁস করা হয়। জানা গিয়েছে, এই গোটা ঘটনায় ইয়াসিন কোরেশি নামে একজন ব্যক্তি জড়িত, যিনি এই চক্রের মূল মাথা। আসলে ইসলামিক রীতি অনুযায়ী কঠোরভাবে পশু জবাই করার নিয়ম রয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, মিশর, দক্ষিণ এশিয়া এবং সুদূর পূর্বের দেশগুলি সহ বেশিরভাগ দেশেই বিশ্বব্যাপী এই মাংস পণ্য হিসেবে রপ্তানি করা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours