মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদ্যপ অবস্থায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের ভিতর ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালাল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই (NSUI)। ভাঙা হল ভগবান রামের মূর্তি। এর পাশাপাশি স্বামী বিবেকানন্দের ছবিও ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে, এনএসইউআই-এর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ৪০ জন এনএসইউআই-এর গুন্ডা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অফিস ভাঙচুরে অভিযুক্ত। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এবিভিপির তুষার দেধার অফিসে ছিল ভগবান রামের মূর্তি, সেটি ভাঙচুর করে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন (NSUI)। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) নিন্দা জানিয়েছে এবং প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদেরকে বহিষ্কারেরও দাবি তুলেছে এবিভিপি। ১৪ জুলাই ভোরবেলায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সহ-সভাপতি অভি দাহিয়ার (NSUI) ঘরে বসে মদ্যপান
অজস্র লাইট, এসি, জলের কল- এসব কিছুও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। একজন প্রত্যক্ষদর্শী সিকিউরিটি গার্ড জানিয়েছেন, ভাঙচুর করার আগে এনএসইউআই-এর ছাত্র নেতারা মদ্যপান করছিলেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি অভি দাহিয়ার ঘরে বসে। প্রসঙ্গত, অভি দাহিয়া এনএসইউআই থেকে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি। এটাই প্রথম বার নতুন নয় এর আগেও একাধিক ভাঙচুরের ঘটনায় নাম উঠে এসেছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের (NSUI)। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মাদক পাচার করার অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
কী বলছেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি?
এ বিষয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এবিভিপির (ABVP) তুষার দেধা বলেন, ‘‘দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে গুন্ডারাজ কায়েম করেছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। ভাইস প্রেসিডেন্ট রাত্রিবেলাতে অফিসে বসে মদ খাচ্ছেন এবং তারপরে ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্রকে নিয়ে অফিস ভাঙচুর করছেন। এটা মানা যায় না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই হামলা শুধু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরে নয়, এটা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা পড়ুয়ার ওপরে হামলা করল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। মদ্যপ অবস্থায় ক্যাম্পাসে তারা ছাত্রীদের উত্তপ্তও করেছে। আমি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এই গোটা ঘটনার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাব এবং অভি দাহিয়ার মত দুষ্কৃতী ছাত্র নেতাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানাব।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours