Zorawar: চিনের ‘টাইপ ১৫’ ট্যাঙ্কের মোকাবিলায় ভারতের ‘জোরাওয়ার’ কতটা শক্তিশালী? জেনে নিন…

Light Tank: চিন-পাকের ঘুম ওড়াবে ভারতের হালকা ট্যাঙ্ক ‘জোরাওয়ার’
Indian_Light_Weight_tank_Zorawar
Indian_Light_Weight_tank_Zorawar

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের টাইপ ১৫ ট্যাঙ্ককে টেক্কা দিতে ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে জোরাওয়ার (Zorawar) লাইট ট্যাঙ্ক। এই হালকা ট্যাক টি-৯০ বা টি-৭২ ট্যাঙ্কের তুলনায় অনেকটাই হালকা (Light Tank)। তবে হালকা হওয়ার আসল সুবিধা পাওয়া যায় পাহাড়ি এলাকায়। যেখানে দ্রুত এই ট্যাঙ্ক এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মোতায়েন করা সম্ভব। এই ট্যাঙ্ক তৈরি করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা (DRDO) ও লারসেন এবং টুব্রো (L&T) যৌথ উদ্যোগে, দেশীয় প্রযুক্তিতে মাত্র দুবছরে এই ট্যাঙ্ক তৈরি করেছে। ২০২৭ সালে এই ট্যাঙ্কের ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে চলে আসবে। 

 

চিনের টাইপ ১৫ বনাম ভারতের জোরাওয়ার (Zorawar)

চিনের টাইপ ১৫ ট্যাঙ্কে ১০৫ এমএম আর্টিলারি গন রয়েছে। তা দিয়ে তিন কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত আনা যায়। এটাই অন্যদিকে ভারতের জোরাওয়ার (Zorawar) ট্যাঙ্কেও ১০৫ এমএম আর্টিলারি গান রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় ট্যাঙ্ক, টাইপ ১৫-এর তুলনায় ক্ষমতা বনাম ওজন অনুপাতে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র ক্ষমতাতেও এগিয়ে রয়েছে জোরাওয়ার। সুরক্ষা, নজরদারি এবং যোগাযোগের দিক থেকেও এই ট্যাঙ্ক চিনা ট্যাঙ্কের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিক। টাইপ ১৫ কে কৌশলগত দিক থেকে জারাওয়ারকে টেক্কা দেওয়ার জন্য অনেকগুলি আপগ্রেড করতে হবে। নিচ থেকে উড়ে যাওয়া হেলিকপ্টার, ড্রোন, শত্রুপক্ষের প্রতিরোধ ব্যবস্থা, শক্ত ঘাঁটি সবকিছুই ধ্বংস করতে সক্ষম ভারতীয় হালকা ট্যাঙ্ক। ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে স্থলে এবং জলে উভয়ে চলতে পারে এই ট্যাঙ্ক। মাত্র তিনজনের দল এই ট্যাঙ্ক চালাতে সক্ষম। তবে দুটি ট্যাঙ্কেরই এক হাজার হর্সপাওয়ার উৎপাদন করতে পারে।  

ডিআরডিওর বক্তব্য (Light Tank)

ডিআরডিওর নির্দেশক রাজেশ কুমার বলেন, “ মাত্র দু বছরে আমরা (Zorawar) ট্যাঙ্ক তৈরি করে ফেলেছি। আগামী ৬ মাস সেনার এর প্রাথমিক ট্রায়াল করবে। গালওয়ানের ঘটনার পর সেনার এই ধরণের হালকা ট্যাঙ্কের (Light Tank) প্রয়োজন হয়। সাধারণত তিন ধরনের ট্যাঙ্ক হয়ে থাকে। ওজনের নিরিখে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী হল ভারী ট্যাঙ্কের। এরপর আসে মাঝারি ওজনের ট্যাঙ্ক। পাহাড়ি রাস্তার জন্য তৈরি হয় হালকা ট্যাঙ্ক। প্রতিটি ট্যাঙ্কের নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে সবরকম ট্যাঙ্ক আত্মরক্ষা এবং আক্রমণ করতে পারে।” সেনাবাহিনীর তরফে আধিকারিক ভাবে জানানো না হলেও চীনকে লক্ষ্য করেও লক্ষ্য করেই তৈরি হয়েছে জোরাওয়ার ট্যাঙ্ক। কারণ চীনের সঙ্গে ভারতের যে অনির্ধারিত সীমানা রয়েছে, সেই অঞ্চল পুরোটাই পাহাড়ি। ফলে সেখানে ভারী ট্যাঙ্ক ব্যবহার করার অনেক দুর্বল দিক রয়েছে। সেখানে হালকা ট্যাঙ্ক অনেক বেশি কার্যকর।। চিনের কাছে আগেভাগেই টাইপ ১৫ টাইম থাকলেও ভারতের কাছে এই বিভাগে কোন ট্যাঙ্ক ছিল না।।

আরও পড়ুন: আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন হল কেজরির, তবু মুক্তি অধরা

চিনের টাইপ ১৫ ট্যাঙ্ককে প্রতিরোধ করার কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে জোরাওয়ার। পরে তৈরি হওয়ায় অনেক বেশি আধুনিক আত্মরক্ষামূলক ও আক্রমণাত্মক ব্যবস্থা এই ট্যাঙ্কে যুক্ত করা হয়েছে। গালওয়ান উপত্যকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর হালকা ট্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে সেনা। যদিও সেবার দুপক্ষের সংঘর্ষ যুদ্ধে পরিণত না হওয়ায় ভারত এই বিভাগে একটি ভালো ট্যাঙ্ক তৈরি করার সময় পেয়ে যায়।

 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles