মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংক্রমণের ভ্রুকুটি। মস্তিষ্কের সংক্রমণে (Brain Eating Amoeba) ফের শিশুমৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেরলে একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে, বিপদ বাড়বে।
কেন উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রক?
কেরলে তিন শিশুর রহস্যজনকভাবে মস্তিষ্কের সংক্রমণ থেকে মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ বছর বয়সি একটি মেয়ে এবং ১৩ বছর বয়সি আরেক কিশোরীর মৃত্যুর পরে, সম্প্রতি ১৪ বছর বয়সি আরেক কিশোর মারা যায়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ (Brain Eating Amoeba) থেকেই এই মৃত্যু হচ্ছে। সংক্রমণের জেরে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তার জেরে শরীরের নানান অঙ্গের জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি ওই ১৪ বছরের কিশোর এই উপসর্গ নিয়েই কেরলের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতিও হয়েছিল। কিন্তু তারপরে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। আর তার জেরেই ছেলেটি মারা যায়। এর আগে আরও দুই শিশু এক ভাবে মারা যায়। আর তার জন্যই উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? (Brain Eating Amoeba)
স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক রাজ্যে এই নিয়ে সতর্কতা জারি করা জরুরি। শিশুরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই মন্ত্রকের তরফ থেকে শিশুস্বাস্থ্যের দিকেও বাড়তি নজরদারি দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের এই সংক্রমণ এক ধরনের অ্যামিবা থেকে হচ্ছে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, পুকুরের জল থেকেই এই সংক্রমণ হচ্ছে। পুকুর থেকেই ওই ব্যাকটেরিয়া নাকের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করছে। আর তার জেরেই বিপদ বাড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমছে। আর হঠাৎ করেই প্রাণহানির মতো বিপদও ঘটছে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশুদের বিশেষত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের, আপাতত পুকুরের জলে (Pond Water) স্নান না করানোই ভালো। কারণ, এদের কতখানি সংক্রামক ক্ষমতা রয়েছে, সে বিষয়েও এখনও নিশ্চিত কিছু বোঝা যাচ্ছে না। তাই কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
ডুব সাঁতারে সতর্কতা
১০ বছরের উর্ধ্বে শিশুদের পুকুরে (Pond Water) স্নানের ক্ষেত্রে ডুব দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বহু কিশোর-কিশোরী খুব ভালো সাঁতার কাটতে পারে। তারা স্নানের সময় দীর্ঘক্ষণ পুকুরের ভিতরে ডুবসাঁতার দেয়। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া (Brain Eating Amoeba) সহজেই নাকের মাধ্যমে তখন মস্তিষ্কে পৌঁছতে পারে। আর তার থেকেই বড় বিপদ ঘটতে পারে। তাই আপাতত এই ধরনের কাজ থেকে আপাতত বন্ধ রাখা উচিত। সুইমিং পুলে নামার ক্ষেত্রে শিশুদের জন্য সতর্কতা জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours