মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে মেধা পাটকরকে (Medha Patkar)! সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির সাকেত আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাঘব শর্মা। ২০০১ সালে মামলাটি দায়ের করেছিলেন বিনয় কুমার সাক্সেনা। বর্তমানে তিনি দিল্লির উপ-রাজ্যপাল। কারাদণ্ডের পাশাপাশি বিনয়কে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
আদালতের নির্দেশ
ম্যাজিস্ট্রেট জানান, কারাদণ্ডের এই আদেশটি স্থগিত থাকবে ৩০ দিনের জন্য। মেধা যাতে উচ্চ আদালতে মামলা করতে পারেন, তাই এই সময় বলে ধারণা আইনজ্ঞদের। প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল মেধাকে (Medha Patkar)। এদিন ঘোষণা করা হল সাজা। ২০০০ সালে ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সিভিল লিবার্টিজ’ নামে এক সংগঠনের সভাপতি পদে ছিলেন বিনয়। সেই সময় ‘নর্মদা বাঁচাও’ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মেধা। আন্দোলন জোরদার করতে এই সময় মেধা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বলে অভিযোগ।
মেধার বিরুদ্ধে গুচ্ছ অভিযোগ
পরে বিনয়কে ‘কাপুরুষ’ অভিধায় ভূষিত করেছিলেন মেধা। হাওয়ালা লেনদেনে বিনয়ের যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী। বিনয়কে গুজরাট সরকারের দালাল বলেও অভিহিত করেছিলেন তিনি। মেধার আরও অভিযোগ, গুজরাটের জনগণ ও তাঁদের সম্পদকে বিদেশি স্বার্থের কাছে বন্ধক রাখা হয়েছে। এসবেরই প্রেক্ষিতে ২০০১ সালে আহমেদাবাদের এক আদালতে মেধার (Medha Patkar) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন বিনয়। ২০০৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলাটি স্থানান্তরিত হয়েছিল দিল্লিতে।
আর পড়ুন: আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য, তৃণমূল সাংসদের জরিমানা ৫০ লাখ
২৪ মে এই মানহানি মামলায় মেধাকে দোষী সাব্যস্ত করার সময় বিচারক বলেছিলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবেই এবং অঙ্ক কষেই মেধা পাটকর ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন। এর মাধ্যমে বিনয় সাক্সেনার মানহানি করার উদ্দেশ্য ছিল তাঁর’। বিচারক আরও বলেছিলেন, ‘বিনয়কে অবৈধ ও অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত বলায়, তাঁর খ্যাতি ও মানের বড় ক্ষতি হয়েছে। মেধার কাছে এই সব অভিযোগের কোনও উপযুক্ত প্রমাণ নেই।’ আদালত জানিয়েছে, বিনয়ের বিরুদ্ধে করা মেধার অভিযোগগুলির নেপথ্যে ছিল জনগণের ক্ষোভ উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্য। রায় শুনে মেধার (Medha Patkar) প্রতিক্রিয়া, “আমরা আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করব।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours