Ramakrishna 60: “হৃদি-কমলাসনে ভাব তাঁর চরণ, দেখ শান্ত মনে, প্রেমনয়নে, অপরূপ প্রিয়দর্শন”

Kathamrita: “কীর্তনান্তে নরেন্দ্রকে ঠাকুর অনেকক্ষণ করিয়া বারবার আলিঙ্গন করিলেন! বলিতেছেন, তুমি আজ আমায় আনন্দ দিলে”……‘কথামৃত’ থেকে শুনুন সেই অমৃত বাণী
Ramakrishna_
Ramakrishna_

পঞ্চম পরিচ্ছেদ

কীর্তনানন্দ নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

বৈকাল হইয়াছে—নরেন্দ্র (Ramakrishna) গান গাহিতেছেন—রাখাল, লাটু, মাস্টার, নরেন্দ্র ব্রাহ্মবন্ধু প্রিয়, হাজরা—সকলে আছেন।

নরেন্দ্র কীর্তন গাহিলেন, খোল বাজিতে লাগিলঃ

চিন্তয় মম মানস হরি চিদঘন নিরঞ্জন;

কিবা অনুপম ভাতি, মোহন মূরতি, ভকত-হৃদ্য-রঞ্জন

নবরাগে রঞ্জিত, কোটি শশী-বিনিন্দিত,

(কিবা) বিজলি চমকে, সেরূপ আলোকে, পুলকে শিহরে জীবন।

হৃদি-কমলাসনে ভাব তাঁর চরণ,

দেখ শান্ত মনে, প্রেমনয়নে, অপরূপ প্রিয়দর্শন।

চিদানন্দরসে, ভক্তিযোগাবেশে, হও রে চিরগমন।

নরেন্দ্র আবার গাহিলেনঃ

সত্যং শিব সুন্দর ভাতি হৃদি মন্দিরে।

নিরখি নিরখি অনুদিন মোর ডুবিব রূপসাগরে।

(সেদিন কবে হবে) (দীনজনের ভাগ্যে নাথ)।

জ্ঞান-অনন্তরূপে পশিবে নাম মম হৃদে,

অবাক্‌ হইয়ে অধীর মন শরণ লইবে শ্রীপদে।

আনন্দ-অমৃতরূপে উদিবে হৃদয়-আকাশে,

চন্দ উদিলে চকোর যেমন ক্রীড়য়ে মন হরষে,

আমরাও নাথ, তেমনি করে মাতিব তব প্রকাশে।

শান্তং শিব অদ্বিতীয় রাজ-রাজ চরণে,

বিকাইব ওহে প্রাণসখা, সকল করিব জীবন।

এমন অধিকার, কোথা পাব আর, স্বর্গভোগ জীবনে (সশরীরে)

শুদ্ধমপাপবিদ্ধিবং রূপ, হেরিয়ে নাথ তোমার,

আলোক দেখিলে আঁধার যেমন যায় পলাইয়ে সত্ত্বর;

তেমনি নাথ তোমার প্রকাশে পালাইবে পাপা-আঁধার।

ওহে ধ্রুবতারা সম হৃদে জলন্ত বিশ্বাস হে;

জ্বলি দিয়ে দীনবন্ধু পুরাও মনের আশ;

আমি নিশিদিন প্রমানন্দে মগন হইয়ে হে;

আপনার ভুলে যাব, তোমারে পাইয়ে হে।

(সেদিন কবে হবে হে)

আনন্দবনে মল মধুর ব্রহ্মনাম (Ramakrishna)।

নামে উথলিবে সুধাসিন্ধু পিয় অবিরাম। (পান কর আর দান কর হে)।

যদি হয় কখন শুদ্ধ হৃদয়, কর নামগান।

(বিষয়-মরীচিকায় পড়ে হে) (প্রেমে হৃদয়, সরস হবে হে)

(দেখ যেন ভুল না রে সেই মহামন্ত্র)

সবে হুঙ্কারিয়ে ছিন্ন কর পাপের বন্ধন। (জয় ব্রহ্ম জয় বল হে)

এস ব্রহ্মানন্দ বাতি সবে হই পূর্ণকাম।(প্রেমযোগে যোগী হয়ে হে)

খোল করতাল লইয়া কীর্তন হইতেছে। নরেন্দ্রাদি ভক্তেরা ঠাকুরকে বেড়িয়া বেড়িয়া কীর্তন করিতেছেন। কখন গাহিতেছেন, প্রেমানন্দ রসে হও রে চিরগমন! আবার কখন গাহিতেছেন, সত্যং শিব সুন্দররূপ ভাতি হৃদিমন্দিরে।

কীর্তনান্তে নরেন্দ্রকে ঠাকুর অনেকক্ষণ (Ramakrishna) করিয়া বারবার আলিঙ্গন করিলেন! বলিতেছেন, তুমি আজ আমায় আনন্দ দিলে !!!

আরও পড়ুনঃ “মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম”

আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles