Dr Rupa Yadav: বালিকা বধূ রূপা এখন ডাক্তার! মাত্র ৮ বছরে বিয়ে, দুই সন্তানের মা অবশেষে স্বপ্নপূরণ 

Child Bride from Rajasthan: 'ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়', সমাজকে মেনে নিয়েই স্বপ্নপূরণ বালিকা বধূ রূপার
Dr-Rupa-Yadav-Child-Bride-1651060849-1024x580
Dr-Rupa-Yadav-Child-Bride-1651060849-1024x580

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র ৮ বছর। তখন সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। গ্রামের স্কুলের মেধাবী ছাত্রী। কিন্তু অভাবের ঘরে মেয়ের পড়াশোনা বাতুলতা! এমনই ভাবনা থেকে পরিবারের চাপে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছিল রূপাকে (Dr Rupa Yadav)। শখ ছিল ডাক্তার হওয়ার।  সম্ভব কী করে? হাল ছাড়েননি রূপা। পাশে পেয়েছিলেন স্বামী শঙ্করকে। অভাব থাকলেও স্ত্রীয়ের ইচ্ছাকে পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন পেশায় গাড়িচালক শঙ্কর। সাহায্য করেছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও। প্রথম থেকে না হলেও রূপার ইচ্ছের কাছে হার মেনেছিল সব প্রতিকূলতা। এখন প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার রূপা যাদব।

ছোটতেই বিয়ে, তারপর পড়াশোনা

রাজস্থানের বালি ভুমিকে কেন্দ্র করে তৈরী হয়েছিল হিন্দি সিরিয়াল 'বালিকা বধু' (Child Bride from Rajasthan)। যেখানে বধূ ছিল আনন্দী। বাস্তবে সেই রাজস্থানের বালি ভুমিকে কেন্দ্র করে রচিত হল বধূ রুপা যাদবের (Dr Rupa Yadav) কাহিনী। মাত্র ৮ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয়ে যায় ১২ বছরের শঙ্কর লালের সঙ্গে! বাল্যবিবাহের পরও পড়াশোনায় কোনও খামতি হতে দেননি ছোট থেকেই মেধাবী রূপা। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৮৪ শতাংশ নম্বর পাওয়া সেটাই প্রমাণ করে। এরপর ধীরে ধীরে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি। রূপার স্বামী বা তাঁর শ্বশুর-শাশুড়িও কখনও তাঁকে বাধা দেননি ঠিকই, কিন্তু আর্থিক কষ্ট বরাবরই ছিল তাঁদের। সংসার সামলেই রূপা প্রস্তুতি নিয়েছিলেন জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার। সেখানে সফল হয়েই সন্তানকে কোলে নিয়ে ডাক্তারি পড়া শুরু রূপার।

আরও পড়ুন: নিজস্ব পেমেন্ট অ্যাপ চালু করল ফ্লিপকার্ট! জানেন কীভাবে ব্যবহার করবেন?

স্বপ্নপূরণ, পাশে পরিবার

২০১৭ সালে নিট ইউজি পাশ করেছেন রূপা (Dr Rupa Yadav)। এখন তিনি ডাক্তার। নাগৌড় জেলার খারিয়া গ্রামের একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার পদে কর্মরত তিনি। ডাক্তার হওয়ার আগে একাধিক প্রাইভেট ফার্মে কাজ করেছেন তিনি। এখন গাইনোকোলজিস্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন রূপা (Child Bride from Rajasthan)। প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিট পিজির। স্বামী হিসেবে শঙ্করকে ফুল মার্কস দিচ্ছেন রূপা। বলছেন, ''আমাকে সাহায্য করবে বলে নিজের পুরনো বাড়ি ছেড়েছে ও। সংসারের বাড়তি খরচ সামলানোর জন্য একসঙ্গে একাধিক কাজও করেছে। এখন বাড়ির সামনে একটি দোকান চালিয়েই আমাকে সাহায্য করে।'' স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রীর এই সাফল্যে গর্ববোধ করেন শঙ্করও। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles