মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে জেলায় জেলায় বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভোট পরবর্তী এই হিংসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) । অবিলম্বে বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবার মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল।
চিঠিতে কী রয়েছে? (CV Ananda Bose)
রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠিতে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) লিখেছেন, 'পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে বলুন। ভোট মিটলেও জেলায় জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে।' পাশাপাশি চিঠিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। ভোট পরবর্তী হিংসার যে সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, সে বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। ইতিমধ্যে ঘরছাড়া ইস্যুতে মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আপাতত আরও পাঁচদিন রাজ্যে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের ভোটের ফল ঘোষাণার পর রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠির প্রসঙ্গটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল
ডিজির দফতরের বাইরে ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু!
ভোট পরবর্তী হিংসা আক্রান্তদের নিয়ে কয়েকদিন আগে রাজভবন অভিযান করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশি বাধায় তিনি যেতে পারেননি। পরে, আদালতের অনুমতি নিয়ে ফের আক্রান্তদের সঙ্গে করে রাজভবনে যান বিরোধী দলনেতা। তাঁদের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) জানিয়েছিলেন, মোট ১,০২৫টি অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। এই হিংসার শেষ দেখে ছাড়বেন। জানা গিয়েছে, রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চান শুভেন্দু। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। কারণ, রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। এরপর ধর্নার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন শুভেন্দু। আদালত যদিও এ ক্ষেত্রে শুভেন্দুদের কর্মসূচির জন্য বিকল্প জায়গার নাম জানাতে বলেছিল। শুক্রবার রাজভবনের বিকল্প হিসাবে রাজ্য পুলিশের ডিজির দফতরের বাইরে ধর্নায় বসতে চান বলে আদালতে জানিয়েছেন শুভেন্দু।
শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা
রাজ্যপালের চিঠি প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তে এ ব্যাপারে রাজ্যপালের উচিত রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে বাংলার মানুষের জন্য নিরাপত্তা চাওয়া।" বিজেপি নেতা সজল ঘোষের কথায়, "বাংলায় সরকার বদল না হলে এই ধরনের সন্ত্রাসের পরিবেশ কখনও বন্ধ হবে না। অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "বিজেপির গুডবুকে থাকার জন্য রাজ্যপাল এগুলো করছেন। আসলে কুৎসা করেও ভোটে জিততে না পেরে বিরোধীরা সন্ত্রাসের মিথ্যে কান্না কাঁদছে। আর তাতে পূর্ণ মদত জোগাচ্ছেন রাজ্যপাল।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours