মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগ (Arambagh) লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। আর তারপর থেকেই বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বহু কর্মী ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ করেছেন। কিন্তু, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনই অভিযোগে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। ফলে, হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। আরামবাগের সালোপুর-২ পঞ্চায়েতের ডোঙ্গল এলাকায় ফের এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মেরেছে তৃণমূল।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)
আরামবাগের ডোঙ্গলে মাঠে কাজ করার সময় একা পেয়ে এক বিজেপি কর্মীকে লাঠি ও বাঁশপেটার অভিযোগ উঠল স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান এবং তাঁর এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে। প্রহৃত শঙ্কর রায় নামে বিজেপি কর্মীকে গুরুতর জখম অবস্থায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর ছেলে লক্ষ্মীকান্ত রায় আরামবাগ থানায় উপপ্রধান উত্তম বেরা এবং তাঁর সঙ্গী প্রসেনজিৎ আদকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির পাশে খেতে বাদাম তোলার কাজ করছিলেন শঙ্কর। সেই সময়েই তাঁর ওপরে হামলা হয়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর ছেলে লক্ষ্মীকান্ত রায় বলেন, "লোকসভায় এই পঞ্চায়েতে প্রায় ১ হাজার ভোটে বিজেপি এগিয়ে ছিল। এটাই আমাদের অপরাধ। ফল প্রকাশের পর থেকেই উপপ্রধান হুমকি দিচ্ছিলেন। বাবাকে একা পেয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।" উপপ্রধানের দাবি, "গ্রামে ওদের পরিবারগুলি নিজেদের মধ্যে মারপিট করেছে। মিথ্যা আমাদের জড়ানো হয়েছে।"
আরও পড়ুন: "সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়", রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর
শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা
হাসাপাতালে আহতকে দেখতে যান বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ এবং আরামবাগের বিধায়ক মধুসূদন বাগ। বিমান বলেন, "ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে হাইকোর্টের কড়া অবস্থানের পরেও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।" তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি শম্ভুনাথ বেরা বলেন, "ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। শুনেছি পাড়াগত ঝগড়া থেকে এই ঘটনা।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours