Sandeshkhali: “করোনা থেকে ভয়ঙ্কর তৃণমূল বাহিনী”, ভোটের আগে ক্ষোভ প্রকাশ নির্যাতিতা বধূর

Corona: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব আরও এক বধূ…
Sandeshkhali_(2)
Sandeshkhali_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা থেকে ভয়ঙ্কর তৃণমূল বাহিনী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই ভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা গ্রামের গৃহবধূ। ভোটের মরশুমে তৃণমূল কিছু ভূয়ো ভিডিও প্রকাশ করায় এলাকার মহিলারা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। গ্রামের মহিলাদের দাবি, অত্যাচারের কথা মিথ্যা নয়, আমাদের কণ্ঠস্বরের উপর অন্যের কণ্ঠস্বর বাসনো হয়েছে। ইতি মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে দেশের প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালিতে মা-বোনদের উপর অত্যাচারের কথা নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র নিশানা করেছেন। এক বেসরকারি সাংবাদ মাধ্যমকে অত্যাচারের শিকার এক বধূ নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেন।

কী বললেন গৃহবধূ (Sandeshkhali)?

সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই বধূ নিজের ঘরের ভিতরে জানালার ভিতর থেকে বলেন, “ভয়ের মধ্যে রয়েছি। এখন তৃণমূল বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। গুন্ডাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গিয়েছে। ভোটের মধ্যে এসে বলছে সরকারি সুবিধা দেবো। ঘর দেবে, কাজের টাকা দেবে ইত্যাদির প্রলোভন দিচ্ছে। শেখ শাহজাহান না থাকলে কী হবে, তার থেকেও বড় দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়। আমার স্বামীকে মিথ্যা কেসে ফাঁসানো হয়েছে। একটা দুটো নয় পাঁচ পাঁচটা কেস দিয়েছে। এখন ভোটের অপেক্ষায় আছি। আমাদের লড়াই চোখের জলের লড়াই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা ডেকেছিলাম, তিনি নিজে এসে আমাদের কথা শোনেননি। তাঁর নির্দেশে এই এলাকায় তৃণমূল অত্যাচার করেছে। তিনি এবার বলেছেন জিতলে আসবেন। কিন্তু যখন আমাদের দরকার তখন তিনি আসেননি।”

আরও পড়ুনঃ ফের ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা, এবার তলব রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে

আর কী বললেন বধূ?

এই বিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অত্যচারের শিকার এই গ্রামের বধূ আরও বলেন, “একটা সময়ে অনেকেই তৃণমূল করত এলাকায়, তৃণমূল বাহিনীর দৌরাত্ম্য আমারা দেখেছি। করোনা ভাইরাসের থেকেও ভয়ঙ্কর তৃণমূল। উত্তম-শিবুদের ভয়ে মানুষ ভয়ে ভয়ে থাকতেন। যখন তখন বাড়ির (Sandeshkhali) মহিলাদের ডেকে নিয়ে যেত ওরা। থানায় গেলে পুলিশ বলত দাদার কাছে যান, অনেক মানুষকে অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। রাজ্যের পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। আমরা কোনও দিন ভোট দিতে পারিনি। গত বিধানসভা ভোটের সময় আমরা বাড়ি থেকে অন্যত্র লুকিয়ে ছিলাম। ওরা বলত দাদা ডাকালেই যেতে হবে, যখন ইচ্ছে তখন তুলে নিয়ে যেত।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles