মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল রবিবার রাত থেকেই রেমাল (Remal Cyclone) ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বড় প্রভাব ফেলেছে সুন্দরবন নদীবাঁধ সংলগ্ন এলাকায়। একই ভাবে জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণে জনজীবন বিপন্ন। বর্ধমানে এই ঝড়ে ভেঙে পড়েছিল কলাগাছ, আর তা কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান বাবা-ছেলে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। অপর দিকে দক্ষিণ কলকাতার মহেশতলার জমা জলে ছিঁড়ে পড়েছিল বিদ্যুতের তার। তাতেই স্পর্শে মৃত্য হল এক মহিলার। আবার পানিহাটিতে বিদ্যুৎ হুকিং করা তারে স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় আরও এক ব্যক্তির। নামখানা এবং এন্টালিতে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের বলি এখনও পর্যন্ত ৬।
কলাগাছ কাটতে গিয়ে মৃত বাবা-ছেলে (Remal Cyclone)
রেমালের (Remal Cyclone) প্রকোপে বাড়ির কলাগাছ ভেঙে পড়েছিল। এরপর সেই গাছ কাটতে গিয়ে লাইনের তারের সংস্পর্শে আসতেই মৃত্যু হয় বাবা ও ছেলের। বাবার নাম ফড়ে সিং এবং ছেলে তরুণ সিং। প্রথমে বাবা গাছ কাটতে গিয়ে তারের সংস্পর্শে আসেন। এরপর বাবাকে, ছেলে বাঁচাতে গেলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। দ্রুত হাসপাতলে নিয়ে গেলে বাবা-ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এলাকার মানুষের অভিযোগ, ঝড় প্রাকৃতিক কারণে হলেও ইলেকট্রিকের লাইনের তারের বিষয়ে প্রশাসনের বড় গাফিলতি রয়েছে। এই মৃত্যুর দায় প্রশাসন উপেক্ষা করতে পারে না।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বলি আরও ২
মহেশতলায় ঝড়ে (Remal Cyclone) জমা জলে ইলেকট্রিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে আজ মৃত্যু হয়েছে তাপসী দাস নামক এক মহিলার। রাস্তার জমা জলে পা দিতেই আহত হন তিনি। এরপর স্থানীয়রা দ্রুত বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানা যায়। অপর দিকে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে হুকিং করা তারের স্পর্শে আহত হয়ে মৃত্যু হয় গোপাল বর্মণের। তবে এই হুকিং করা তার ঝড়ের ফলে মাটিতে পড়ে ছিল। এরপর স্পর্শ হতেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। রাজা রোড এলাকায় এই নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: রেমালে বিপর্যস্ত হাওড়া, জলমগ্ন নিচু এলাকা, বেহাল জনজীবন! নামখানায় মৃত ১
দিঘার জলে নামেতে নিষেধাজ্ঞা
রেমাল (Remal Cyclone) ঘূর্ণি ঝড়ের তাণ্ডবে অস্থির সুন্দরবন। গোসাবার রাঙাবেলিয়ায় বেশ কিছু জায়গায় ধসের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্যোগের মধ্যে প্রশাসন প্লাস্টিক, ত্রিপল নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে তুলনায় কম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস অনেক বেড়ে গিয়েছে। ওল্ড দিঘা এবং নিউ দিঘায় আজও সমুদ্র সৈকতে কাউকে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে এই সৈকত শহরের আশেপাশে এলাকায় খুব একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অপর দিকে বকখালির পাশেই লক্ষ্মীপুর গ্রাম। সমুদ্রের ধারে হওয়ায় গ্রামের বাড়ি ঘর ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমন কী চাষের জমিতে সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে গিয়েছে। অনেকে ঘর ছেড়ে নিরপাদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours