মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ দশক আগের কেলেঙ্কারি। ছ’বছর ধরে চলা তদন্ত। অবশেষে সামনে এল সত্য। সম্প্রতি শেষ হওয়া তদন্তে জানা গিয়েছে ব্রিটেনে ১৯৭০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এইচআইভি এবং হেপাটাইটিস সি দ্বারা সংক্রামিত হয়েছিল। কিন্তু এই রোগের চিকিৎসা করাতে এলে সে দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের গাফিলতিতে (Blood Transfusion Scandal) মারা যায় প্রায় ৩০০০ মানুষ। কিন্তু এত বড় ঘটনাটি এতদিন সম্পূর্ণভাবে লুকিয়ে গেছিল সে দেশের সরকার। কিন্তু সত্য কখনো চাপা থাকেনা। সত্যি সামনে আসতেই এবার ক্ষতিপুরণ ঘোষনা করলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।
ঠিক কী ঘটেছিল? (Blood Transfusion Scandal)
জানা গিয়েছে সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্র এনএইচএসের গাফিলতিতে ১৯৭০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ এইচআইভি এবং হেপাটাইটিস সি দ্বারা সংক্রামিত হয়েছিল দূষিত রক্তের পণ্য এবং ট্রান্সফিউশন দ্বারা। অনেক হিমোফিলিয়া আক্রান্ত তাদের চিকিৎসার জন্য সংক্রামিত রক্তের নমুনা দিয়েছিলেন। এরপর সেই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অযত্ন ও অবহেলার ফলে শুদ্ধ ও দূষিত রক্তের নমুনা মিশে যায়। আর সেই রক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত করা হলে তাদের রক্তও সংক্রমিত হয়ে যায়। ফলে দূষিত রক্তের প্রভাবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মারা যায় প্রায় ৩০০০ মানুষ।
ক্ষতিপূরণ ঘোষণা সরকারের
অন্যদিকে ভোটের আগে এই কেলেঙ্কারি (Blood Transfusion Scandal) ফাঁস হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। জানা গিয়েছে সরাসরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককে ২০ লক্ষ পাউন্ড দেওয়া হবে। আর যাদের হেপাটাইটিস সংক্রমণের ফলে লিভারের ক্ষতি হয়েছে তারা প্রায় ১০ লক্ষ পাউন্ড পাবে।
আরও পড়ুন: ভোট মিটে গেলেও রাজ্যে থাকবে ৩২০ কোম্পানি বাহিনী, জানাল কমিশন
এই ক্ষতিপূরণের টাকা ধাপে ধাপে দেওয়া হবে। আপাতত চলতি মরসুমে দুলক্ষ পাউন্ড দেওয়া হবে, বছরের শেষে মিলবে মোটা অঙ্কের কিস্তি। সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত (Blood Transfusion Scandal) চার হাজার মানুষকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। দ্বিতীয় দফায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের অবর্তমানে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে তদন্তের দায়িত্বে থাকা কমিটি জানিয়েছে, এই ভয়ানক কেলেঙ্কারির (Blood Transfusion Scandal) কথা গত পঞ্চাশ বছর ধরে বেমালুম চেপে রাখা হয়েছে। সংক্রামিত রক্তের এই তদন্তকে এনএইচএস এর ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ চিকিৎসা বিপর্যয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours