শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
শ্রীরামকৃষ্ণ শ্যামপুকুরে—প্রাণকৃষ্ণের বাটিতে
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কলিকাতায় আজ শুভাগমন করিয়াছেন। শ্রীযুক্ত প্রাণকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের শ্যামপুকুর বাটির দ্বিতলায় বৈঠকখানা ঘরে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। এইমাত্র ভক্তসঙ্গে বসিয়া প্রসাদ পাইয়াছেন। আজ ২ রা এপ্রিল, রবিবার, ১৮৮২ খ্রীঃ, ২১ শে চৈত্র, ১২৮৮, শুক্লা, চতুর্দশী; এখন বেলা ১/২ টা হইবে। কাপ্তেন ওই পাড়াতেই থাকেন; ঠাকুরের ইচ্ছা এ-বাড়িতে বিশ্রামের পর কাপ্তেনের বাড়ি হইয়া, তাহাকে দর্শন করিয়া কমলকুটির নামক বাড়িতে শ্রীযুক্ত কেশব সেনকে দর্শন করিতে যাইবেন। প্রাণকৃষ্ণের বৈঠকখানায় বসিয়া আছেন; রাম, মনোহর, কেদার, সুরেন্দ্র, গিরীন্দ্র (সুরেন্দ্রর ভাতা), রাখাল, বলরাম, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তেরা উপস্থিত।
পাড়ার বাবুরা ও অন্যান্য নিমন্ত্রিত ব্যক্তিরাও আছেন, ঠাকুর কি বলেন—শুনিবার জন্য সকলেই উৎসুক হইয়া আছেন।
ঠাকুর (Ramakrishna) বলিতেছেন, ঈশ্বর ও তাঁহার ঐশ্বর্য। এই জগৎ তাঁর ঐশ্বর্য।
কিন্তু ঐশ্বর্য দেখেই সকলে ভুলে যায়, যাঁর ঐশ্বর্য তাঁকে খোঁজে না। কামিনী-কাঞ্চন ভোগ করতে সকলে যায়, কিন্তু দুঃখ, অশান্তিই বেশি। সংসার যেন বিশালাক্ষীর দ, নৌকা দহে একবার পড়লে আর রক্ষা নাই। সেকুল কাঁটার মতো এক ছাড়ে তো আর একটি জড়ায়। গোলোকধান্দায় একবার ঢুকলে বেরুনো মুশকিল। মানুষ যেন ঝলসা পোড়া হয়ে যায়।
একজন ভক্ত—এখন উপায়?
উপায়—সাধুসঙ্গ আর প্রার্থনা
শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—উপায়ঃ সাধুসঙ্গ আর প্রার্থনা।
বৈদ্যের কাছে না গেলে রোগ ভাল হয় না। সাধুসঙ্গ একদিন করলে হয় না, সর্বদাই দরকার, রোগ লেগেই আছে। আবার বৈদ্যের কাছে না থাকলে নাড়ীজ্ঞান হয় না, সঙ্গে সঙ্গে ঘুরতে হয়। তবে কোনটি কফের নাড়ী, কোনটি পিত্তের নাড়ী বোঝা যায়।
আরও পড়ুনঃ “ভজানন্দ ব্রহ্মানন্দ, এই আনন্দই সুরা! মানবজীবনের উদ্দেশ্য ঈশ্বরে প্রেম”
আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির..”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours