NCERT: ভারতের সুমেরু-কুমেরু-হিমালয় অভিযানের অগ্রগতি এবার স্থান পাবে এনসিইআরটির বইয়ে

এনসিইআরটির বইয়ে পড়ানো হবে ভারতের সুমেরু-কুমেরু-হিমালয় অভিযানের অগ্রগতি, সুপারিশ ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের
ncert-cbse-history-class-xii
ncert-cbse-history-class-xii

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্কটিক, আন্টার্টিকা এবং হিমালয় নিয়ে  ভারতের গবেষণার অগ্রগতি স্থান পেতে চলেছে স্কুল পাঠ্য বইগুলিতে। এমনটাই জানা গিয়েছে এনসিইআরটি-র (NCERT) তরফ থেকে। সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্র এ বিষয়ে এনসিইআরটিকে সুপারিশ করেছে।

কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রবিচন্দ্রন কী বললেন?

কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রবিচন্দ্রন এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘এনসিআরটি (NCERT) স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে এই ক্ষেত্রগুলির গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য একটি কমিটিও ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে। ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিবের আরও সংযোজন, ‘‘আমরা এনসিইআরটিকে একটি চিঠি লিখেছি। সম্প্রতি আন্টার্টিকা অভিযান, হিমালয় ও জলবায়ু পরিবর্তন সহ আরও বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তারা ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছে।’’

২০২৬ সালের মধ্যেই এই বিষয়গুলি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে

জানা গিয়েছে এনসিইআরটির (NCERT) পাঠ্য পুস্তকে ইতিমধ্যে আন্টার্টিকা অভিযানের বেশ কিছু বিষয় রয়েছে। বিভিন্ন শ্রেনীতে তা পড়ানো হয়। তবে সেগুলির সর্বশেষ সংস্করণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। তাই আন্টার্টিকা এবং হিমালয় অঞ্চলে ভারতের গবেষণার সর্বশেষ আপডেট খুব শীঘ্রই এনসিইআরটির স্কুল পাঠ্য বইগুলিতে দেখা যাবে। প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর পরবর্তীকালে এনসিইআরটির (NCERT) পাঠ্য পুস্তক থেকে জলবায়ু পরিবর্তন, বর্ষা, গ্রিনহাউস প্রভাবের মত অনেক বিষয়েই বাদ দেওয়া হয়েছে। এনসিইআরটির সূত্রে জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ সালের মধ্যেই এই বিষয়গুলি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে, চলতি মে মাসের কুড়ি থেকে ত্রিশ তারিখ কোচিতে আন্টার্টিকা অভিযান নিয়ে একটি আলোচনা হবে।

১৯৮৩ সালে স্থাপিত হয় দক্ষিণ গঙ্গোত্রী

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ মেরুতে ভারতের প্রথম গবেষণা কেন্দ্রের নাম ছিল দক্ষিণ গঙ্গোত্রী, ১৯৮৩ সালে যা স্থাপিত হয়। পরে এটি বরফে ডুবে যায় এবং পরিত্যক্ত হয়ে ওঠে। এই মুহূর্তে ভারতের দুটি সক্রিয় গবেষণাগার রয়েছে। একটি মৈত্রী, অপরটি হল ভারতী। জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক বছর ধরে বহু ভারতীয় ছাত্র দক্ষিণ মেরু গবেষণায় নিজেদেরকে যুক্ত করেছেন। কিন্তু স্কুলস্তরের সব ছাত্রদের ছাত্ররা দক্ষিণ মেরুতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তার একটাই কারণ, তা হল প্রচুর খরচ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles