World Hemophilia Day 2024: এখনই সতর্ক হোন, হিমোফিলিয়ার সমস্যা গুরুতর আকার নিতে পারে!

১৭ এপ্রিল বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস…
World_Hemophilia_Day_2024
World_Hemophilia_Day_2024

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেটে যাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাওয়াই তো স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় রক্তপাত বন্ধ হতেই চায় না। এই সমস্যা গুরুতর আকার নিতে পারে। আজ অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস (World Hemophilia Day 2024)। হিমোফিলিয়া বা রক্ত বন্ধ না হওয়ার সমস্যায় ভুগছে সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা ও অল্পবয়সী মেয়েরা। হিমোফিলিয়ার সমস্যা সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই এই সমস্যায় সচেতনতা (awareness) গড়ে তুলতে ১৭ এপ্রিলকে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে প্রতি ১০,০০০ জন্মে ১ জন (পুরুষ ও মহিলা) হিমোফিলিয়ায় ভুগছেন।

কেন হয় হিমোফিলিয়া(World Hemophilia Day 2024)?

সাধারণত বাবা অথবা মা, অথবা উভয়ের কাছ থেকেই এই রোগ শিশুর দেহে বাহিত হয়। আসলে, কখনও কখনও জন্মের পরে, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার, ক্যানসার, মাল্টিপল স্কলেরোসিস, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও কখনও কখনও গর্ভাবস্থায়, ক্লোটিং ফ্যাক্টর প্রোটিন তৈরিকারী জিনটির সমস্যা হতে শুরু করে। যা এই রোগের কারণ হতে পারে । এমন অনেক জন্মগত রোগ রয়েছে, যেগুলির সময়মতো চিকিৎসা (Treatment) না হলে পরে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এরকম একটি মারাত্মক রোগ হল হিমোফিলিয়া (World Hemophilia Day 2024)।

রোগের লক্ষণ

যে শিশুরা হিমোফিলিয়া (World Hemophilia Day 2024) নিয়ে জন্মায় তাদের শরীরে সহজে কালশিটে পড়ে বা ভিতরে ভিতরে রক্তপাত হওয়ার সমস্যা দেখা যায়। সাধারণত শরীরের বিভিন্ন গাঁটের কাছে রক্তপাত হয়। রক্তপাতের সময় গাঁটে অস্বস্তি বা কোনও রকম ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এছাড়াও দুর্ঘটনা বা আঘাতের পরে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষত থেকে অবিরাম রক্তপাত৷ ঘন ঘন নাক থেকে রক্তপাত (Bleeding)৷ মাড়ি থেকে রক্তপাত এবং দাঁত অপসারণ বা ভাঙার পরে বা যেকোনও ধরনের অস্ত্রোপচারের পরে রক্তপাত বন্ধ করতে দেরি বা অক্ষমতা। টিকা বা ইনজেকশনের পরে রক্তপাত এই রোগের লক্ষণ৷

আরও পড়ুনঃ তাপপ্রবাহের সতর্কতা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায়, বিশেষ বুলেটিন হাওয়া অফিসের

যদি চিকিৎসা না করা হয় তা হলে জয়েন্ট স্টিফনেস হতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে গাঁট ফুলে উঠতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, হিমোফিলিয়া (Hemophilia) নামের মারাত্মক রোগটি শিশুর জন্মের পর থেকেই ৮ এবং ৯ ফ্যাক্টরের অভাবের কারণে ঘটে। এমতাবস্থায় প্রাথমিক পর্যায়ে এটি শনাক্ত এবং চিকিৎসা না করা হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হিমোফিলিয়া কখনই সম্পূর্ণ সারানো সম্ভব নয়। তবে সচেতন থাকলে চিকিৎসার মাধ্যমে গুরুতর সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles