মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনে বামেদের বাজি সিপিএমের তন্ময় ভট্টাচার্য (Tanmoy Bhattacharya)। এই কেন্দ্রে পদ্ম চিহ্নে লড়ছেন সজল ঘোষ। আর তৃণমূলের প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাস্তে-হাতুড়ি চিহ্নে আগেও জিতেছেন তন্ময়।
প্রাক্তন বিধায়ক (Tanmoy Bhattacharya)
সুবক্তা এই বাম নেতা জিতেছিলেন উত্তর দমদম বিধানসভা কেন্দ্রে। ২০১৬ সালে তিনি ধরাশায়ী করেছিলেন তৃণমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য উল্টে যায় পাশার দান। এবার পরাস্ত হন তন্ময় (Tanmoy Bhattacharya)। জয়মাল্য ওঠে চন্দ্রিমার গলায়। সম্প্রতি বরানগরের বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের তাপস রায়। সেই কারণে হচ্ছে উপনির্বাচন। এখানকারই জল-হাওয়ায় বেড়ে ওঠা তন্ময়ের। সেই কারণেই তাঁর ঘাড়ে দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি বধের।
দলীয় নেতৃত্বকেই নিশানা করেছিলেন তন্ময়
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দলের হারের পরে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তন্ময়। নির্বাচনে বিপর্যয়ের দায় তিনি চাপিয়েছিলেন দলীয় নেতৃত্বের ঘাড়ে। তিনি বলেছিলেন, “দলের এই ব্যর্থতার দায় নেতৃত্বের। আমাদের নয়, নিচুতলার কর্মীদেরও নয়। লোকসভায় শূন্য হয়ে যাওয়ার পরেও সেই দায় কেউ নেননি। বিধানসভায় হারের পরেও কেউ দায় নেবেন না। শুধু স্তালিন কপচালে হবে না। এটা স্তালিনের যুগ নয়।” এনিয়ে দলে সমালোচনা হলেও, স্ব-বক্তব্যে অনড় ছিলেন তন্ময়।
আরও পড়ুুন: বাংলার জামাইকে প্রার্থী করে আসানসোলে কিস্তিমাত পদ্মের, বিপাকে ঘাসফুল
সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে আগেও একবার বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন তন্ময়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে পূর্ণ সদস্য করা হয়েছিল তাঁকে। পরে করে দেওয়া হয় আমন্ত্রিত সদস্য। সূত্রের খবর, দলীয় নেতৃত্বের ওই সিদ্ধান্ত শুনেই সক্রিয় রাজনীতি করতে চান না বলে বৈঠক থেকে বেরিয়ে চলে এসেছিলেন বরানগরের ‘ছেলে’। পরে রাজ্য নেতৃত্ব তন্ময়ের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেন। সেই তন্ময়কেই এবার বাজি ধরলেন বামেরা। এখন দেখার, তন্ময়ের (Tanmoy Bhattacharya) কাস্তে-হাতুড়ির ঘায়ে বরানগরে পদ্ম এবং ঘাসফুল মূর্চ্ছা যায় কিনা!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours