মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: "সন্দেশখালির দোষীদের সারা জীবন জেলেই কাটাতে হবে।" কোচবিহারের মঞ্চ থেকে এমনই কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর এই প্রথম বাংলায় মোদি। কোচবিহারের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে প্রচারে এসেছেন নরেন্দ্র মোদি। সভায় তাঁর পাশে উপস্থিত বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারও। কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন তৃণমূল সরকার কীভাবে সন্দেশখালির অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য পুরো শক্তি লাগিয়ে দিল! সেখানে মহিলাদের ওপর কী ধরনের অত্যাচার হয়েছে। এখন বিজেপি সংকল্প নিয়েছে, সন্দেশখালির দোষীদের শাস্তি দিয়েই ছাড়বে। সারা জীবন জেলেই কাটাতে হবে।
আরও পড়ুন: "মতুয়া মেলা বন্ধ করার চক্রান্ত করছে তৃণমূল", সরব শান্তুনু ঠাকুর
তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য প্রকল্প সময়ে শেষ হয় না রাজ্যে
গরিবদের লুটেরাদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ করেছে মোদি। দেশ যাতে ভ্রষ্টাচারমুক্ত হয়, দেশ যাতে আতঙ্কবাদ মুক্ত হয়, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনারাই বলুন যারা আপনাকে লুটেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত কিনা? দিনরাত মোদিকে গালি দেয়। তোলাবাজি, খুন খারাবির রাজনীতি এভাবে চলছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে দুর্নীতিতে যুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ হবে। এটা তৃণমূলকে যোগ্য জবাব দেওয়ার সময়। বাংলার জনতার জন্য যে যোজনা আনি, বাংলার সরকার এখানে সেটা হতেই দেয় না। আয়ুস্মান ভারত প্রকল্পকে আটকেছে। তৃণমূল সরকার করতেই দিচ্ছে না। যদি এখানে এই প্রকল্প হত, তাহলে অন্য রাজ্যেও পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা হত। সব জেলাতে একটা করে মেডিক্যাল কলেজ করতে চায় বিজেপি। তৃণমূল সেটা করতে দিচ্ছে না। বাংলাকে রেকর্ড পয়সা দেওয়ার পরও দুর্নীতির জন্য প্রকল্প সময়ে শেষ হয় না। রেশন দুর্নীতিতে, শিক্ষা দুর্নীতি যারা জড়িত, তাদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। তৃণমূলের মন্ত্রীদের থেকে নোটের পাহাড় উদ্ধার হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কৃতজ্ঞতা জানালেন মোদি
কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান থেকে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, যখন রাস্তা দিয়ে আসছিলাম, দেখে মনে হচ্ছিল, যেন কোনও রোড শো হচ্ছে। আপনাদের এই ভালোবাসা আমার মাথায় রয়েছে। আমি সবার প্রথমে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাইছি। ২০১৯ সালে যখন আমি এই ময়দানেই এসেছিলাম, তখন এখানে মাঝখানে একটা বড় মঞ্চ বানিয়ে ময়দানের জায়গা ছোট করে দিয়েছিলেন তিনি। যাতে মোদির কথা কেউ শুনতে না পারে। সেদিন আমি মমতাদিদিকে বলেছিলাম, দিদি আপনি এটা করে ভুল করলেন, মানুষ জবাব দেবে, সেটাই হয়েছে। কিন্তু, আজ মমতাদিদি সেরকম কিছুই করেননি। ময়দান ছেড়ে দিয়েছেন। আপনাদের সকলের মুখ আজ আমি দেখতে পারছি। বাংলার জনগণের মুখ দেখার জন্য কোনও বাধা না দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours