মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক নাবালকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি (Kamarhati) এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ইমতিয়াজ হোসেন। তার বয়স আট বছর। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিটি রোডে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নাবালকের মৃত্যুর জন্য পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান অবরোধকারীরা। অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে অবরোধকারীদের সঙ্গে বচসা বাধে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।
পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে অবরোধ (Kamarhati)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইমতিয়াজের বাড়ি পানিহাটি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড। তার বাবা নাসিম হুসেন পেশায় রিকশ চালক। ৩০ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ইমতিয়াজ রহস্যজনভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের তরফ থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর না পেয়ে ঘোলা থানায় অভিযোগ জানানো হয়। তবে, পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে এদিন দুপুরে আগরপাড়া-কামারহাটি (Kamarhati) লাগোয়া একটি বন্ধ কারখানার ভিতরে পুকুরের মধ্যে থেকে হাত-পা বাঁধা,মুখে রুমাল বাঁধা অবস্থায় মৃত অবস্থায় ইমতিয়াজকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করলে তাকে বাঁচানো যেত বলে দাবি স্থানীয়দের। তারপরেই স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে বিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবি জানান। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয়। পরে, লাঠিচার্জ করে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, আগে কোনও ঝামেলাতেও জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়নি শিশুটির পরিবারের কাউকে। সে ক্ষেত্রে শিশুটি কী ভাবে নিখোঁজ হল, কেনই বা তার দেহ পুকুরে এল, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। দোষীদের শাস্তি চাই।
পুলিশ কমিশনার কী বললেন?
পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া এদিন ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, যেখানে ওই নাবালকের দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেখানে সচরাচর কেউ যায় না। কেন ওই নাবালককে এভাবে খুন করা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours