তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
সাধারণ সর্দি-কাশি কিংবা হাল্কা কোনও চোট লাগলেও দাওয়াই হয় অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics)। কখনও ওষুধের দোকান থেকে ইচ্ছেমতো কেনা, আবার কখনও নিজেই ঠিক করে খানকতক অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট মুখে পুড়ে দেওয়া। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই এই রেওয়াজ চলছে। আর এর জেরেই বাড়ছে বিপদ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিয়মিত ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার জেরে সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত বেশ কয়েকটি রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এর জেরে ভোগান্তি বাড়ছে রোগীদের।
কোন কোন রোগে সমস্যা বাড়ছে? (Antibiotics)
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সংক্রমণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে জটিলতা বাড়ছে। বিশেষত ফুসফুসের সংক্রমণের চিকিৎসায় সমস্যা বেশি হচ্ছে। তাই রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে। পালমনোলজিস্টদের একাংশ জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণের জেরে ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত প্রবীণদের মধ্যে এই সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে কাজ করছে না। যে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক অনিয়মিতভাবে অতিরিক্ত খেলে, শরীরে এক ধরনের প্রতিষেধক শক্তি গড়ে ওঠে। তখন আর অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর হয় না। তাই দেখা যাচ্ছে, অনিয়মিতভাবে, অকারণে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার জেরে সমস্যা বাড়ছে। শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না। ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। ভোগান্তি বাড়ছে।
এছাড়া, ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও এই ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রোগের মোকাবিলায় অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর হচ্ছে না। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে।
এছাড়া যে কোনও দুর্ঘটনার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে দেখা যাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) ঠিকমতো শরীরে প্রভাব ফেলছে না। এর জেরে অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে।
কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Antibiotics)
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনিয়মিতভাবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না। সাধারণ সর্দি-কাশি কিংবা হাল্কা চোট লাগলে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। বরং এই ধরনের সমস্যার অন্য ওষুধ রয়েছে। তাই অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। একমাত্র বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে।
তবে ফুসফুসের সংক্রমণ কিংবা ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো সমস্যা এড়াতে কয়েকটি খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের অন্যতম কারণ জল কম খাওয়া। এছাড়া, ক্র্যানবেরি জুসের মতো ফলের রস নিয়মিত খেলে ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের ঝুঁকি কমে। পাশপাশি এলাচ, রসুন, লেবু, তুলসি পাতা নিয়মিত খেলে ফুসফুসের সংক্রমণে ঝুঁকি কমে। কারণ, এগুলিতে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সংক্রমণের ঝুঁকি কমলে ভোগান্তিও কমবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours